পেকুয়ায় বিয়ের আসর থেকে আকদ না পড়িয়ে ফিরে গেছেন মৌলভী সাহেব। বর কট্টর আ’লীগ সমর্থিত। মৌলভী কট্টর জামাতপন্থি। বিয়েতে বর-কনের আকদ সম্পন্ন করতে সমাজপতিরা মহল্লার মসজিদের দায়িত্বরত মৌলভী সাহেবকে দাওয়াত দেন। মৌলভী সাহেব যথাযত দাওয়াত গ্রহনও করেছেন। বিয়ে অনুষ্টানে গিয়ে বর-কনের আকদ সম্পন্ন করতে দুলার বৈঠক সারিতে উপস্থিত হন ইমাম সাহেব।
তবে বাধ সাধে বর কট্টর আ’লীগ করে এ কথা মৌলভী সাহেব বিয়ে আসরে জেনে গেছেন। মুর্হুতের মধ্যে উত্তেজিত হয়ে ওই বিয়ে আসর থেকে সটকে পড়ে মৌলভী। এ সময় উপস্থিত লোকজন ও সমাজপতিরা হুজুরের এমন আচরনে হতভম্ব হন। ছড়িয়ে পড়ে অসেন্তাষ। থেমে যায় কিছুক্ষনের জন্য বিয়েতে বর-কনের আকদ সম্পন্ন অনুষ্টান। তবে বর ও কনের পরিবার সিদ্ধান্ত নেয় অন্য মহল্লার ইমাম সাহেবকে দিয়ে আকদ সম্পন্ন করবেন। তাই হল প্রায় দু’ঘন্টা পর অপর একজন হুজুর এনে মিমাংসিত করা হয়েছে আকদ’র বিষয়টি। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের ঢারারমুখ রমিজপাড়া এলাকায়।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে গত শুক্রবার (২৪জুন) ওই এলাকার শফিউল আলমের ছেলে আনছার উদ্দিনের বিয়ের অনুষ্টান ছিল। একই ইউনিয়নের মধুখালী এলাকার শাহ আলমের মেয়ে শারমিন আক্তারের সাথে আনছারের বিয়ে অনুষ্টান চলছিল। ওইদিন রাত ১০টার দিকে বর ও কনেকে আকদ পড়াতে আসেন চৌকিদারপাড়ার জামাত নেতা মৌলভী আহমদ হোসেন।
স্থানীয়রা জানায় আনছার উদ্দিনের পরিবার আ’লীগ করে। ওই সংবাদ মৌলভী সাহেব জানে। এ সময় তিনি আকদ না দিয়ে দ্রুত ত্যাগ করেন বিয়ে বাড়ি স্থান।
এ ব্যাপারে ঢালারমুখ সমাজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি নাছির উদ্দিন জানায় বিয়ের অনুষ্টানে মৌলভী সাহেব যে আচরন করেছে তা অত্যন্ত অবমাননাকর। কে কোন দল করে এগুলো বিয়ে অনুষ্টানে মৌলভী সাহেবের প্রয়োজন নেই। ওইদিন আকদ না পড়াতে মৌলভী সাহেবকে নিষেধ করে তার সাথে থাকা মোস্তাক আহমদ, কবির আহমদ ও ইলিয়াছ। তাদের কথা মতে মৌলভী আকদ না পড়িয়ে বিয়ে বাড়ি থেকে চলে যায়।
এ ব্যাপারে মৌলভী আহমদ হোসেন জানায় আনছার উদ্দিন ও তার পিতা কয়েক বছর ধরে এলাকায় ছিলেননা। তারা বেনামাযি। তাই আকদ পড়ানো হয়নি।
পাঠকের মতামত: