মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া ::
তাছলিমা ইসলাম। মেধাবী ছাত্রী। বিগত ২০১৫ সালে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় পেকুয়া উপজেলার মগনামা মুহুরী পাড়া জাগরণ আদর্শ শিক্ষা নিকেতন থেকে অংশ গ্রহণ করে এ প্লাস পেয়েছেন। বর্তমানে তাছলিমা ইসলাম মগনামা আদর্শ শিক্ষা নিকতনে ৭ম শ্রেনীতে পড়ছেন। ৬ষ্ট শ্রেনীতে পড়েছেন জাগরণ স্কুলে। এরপর অন্যস্কুলে চলে যাওয়ার সময় জাগরণ স্কুলের অধ্যক্ষের কাছ থেকে তার প্রাইমারী পাশের সনদপত্রটি চান। কিন্তু বিধিবাম। অধ্যক্ষ মো. খোরশেদ ওই ছাত্রীর কাছ থেকে দাবী করেন ১৫০০টাকা। এ টাকা না দিলে তাকে সনদপত্র দিবেন। বেশ কয়েকবার সনদপত্র চাইতে গিয়ে ওই অধ্যক্ষের কাছে লাঞ্চিতও হয়েছেন ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী তাছলিমা ইসলাম। শেষমেষ উপায়ন্তর না দেখে আজ ২৯ আগষ্ট মগনামা জাগরণ আদর্শ শিক্ষা নিকেতনের অধ্যক্ষ্যের খোরশেদের বিরুদ্ধে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ওই ছাত্রী অভিযোগ করেছেন, তিনি বেশ কয়েকবার অধ্যক্ষের কাছে যান তার প্রাইমারী পাশের সনদপত্র নেওয়ার জন্য। প্রতিবারই দার কাছ থেকে ১৫০০টাকা দাবী করেন অধ্যক্ষ। টাকা না দিলে সনদপত্রও দিবেন না বলে তাকে সাফ জানিয়ে দেন অধ্যক্ষ! ওই ছাত্রী অনেক অনুনয় বিনয় করেও অধ্যক্ষের মন গলেনি।
জানা গেছে, প্রাইমারী পাশ মূল সনদের জন্য কোন ধরনের টাকা আদায়ের নিয়ম না থাকলেও মগনামা জাগরণ আদর্শ শিক্ষা নিকেতনের অধ্যক্ষ খোরশেদ আলম অন্যায়ভাবে ওই শিশু শিক্ষার্থীর কাছ থেকে টাকা দাবী করছেন।
অভিযোগের ব্যাপারে ওই কেজি স্কুলের অধ্যক্ষ খোরশেদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, সনদপত্র নিতে গেলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কিছু টাকা নেওয়া হয়। সেটা আমরা-আপনারা সবাই এক সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্টানে দিয়েছি। এতোদিন সনদটি আটকে রাখার কারণ জানতে চাইলে তিনি কোন ধরনের সদুত্তর দিতে পারেনি।
পেকুয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জানান, শিক্ষার্থীর সনদ আটকে টাকা দাবী করে গুরুতর অপরাধ। তিনি বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে দেখছেন বলে জানান। স্থাণীয়রা অভিযোগ করেছেন, মগনামা মুহুরী পাড়া গ্রামে কেজি স্কুলের নামে গলাকাটা বানিজ্য শুরু করেছে খোরশেদ। শিক্ষার নামে ব্যবসা ও গলাকাটা বানিজ্য বন্ধে স্থানীয়রা অবিলম্বে উর্দ্ধতন প্রশাসনের কাছে জোরালো হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন।
পাঠকের মতামত: