ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় ৩ বছরের শিশু ধর্ষণ

পেকুয়া প্রতিনিধি :dor-sisu

পেকুয়ায় ৩ বছর বয়সের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বাড়িতে ডেকে নিয়ে রান্না ঘরে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করেছে বলে ওই শিশুর মা নিশ্চিত করেছে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। কতর্ব্যরত চিকিৎসক ধর্ষিতা শিশুটিকে কক্সবাজার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে প্রেরন করে।
অবুঝ ৩ বছর বয়সের ওই শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সাধারন মানুষ ক্ষেপে যান। এ সময় লম্পট ওই বখাটে ও তার পরিবার এলাকাবাসীর রোষানল এড়াতে গা ঢাকা দেয়। এলাকায় এ বিভৎসতার বিরুদ্ধে মানুষ ফুঁসে উঠার উপক্রম হয়েছে। এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে গ্রামবাসীরা সোচ্ছার হয়েছে। গত শুক্রবার দুপুর আনুমানিক দেড়টার দিকে উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের কাচারীমোড়া এলাকায় এ বিভৎস ঘটনা সংঘটিত হয়েছে শিশুটির প্রতি। সংগত কারনে শিশুটির নাম গোপন রাখা হল। খবর পেয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ওই স্থান পরিদর্শন করেছেন। তারা এ ঘটনাকে অত্যন্ত অমানবিক ও শিশুটির প্রতি নিষ্টুরতা বলে আখ্যায়িত করেছেন। স্থানীয় ভাবে বিষয়টি নিস্পত্তির চেষ্টাও করেন তারা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শিশুটির অবস্থা সংকটাপন্ন বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানায়। শিশুর মা ও ফুফি জানায়, ওই দিন তিন বছর বয়সের কন্যা শিশুটি বাড়ি থেকে বের হয়ে খেলতে যান। পাশর্^বর্তী আবদুল মোনাফের ছেলে ইয়াসিন ফুসলিয়ে তাকে বাড়িতে নিয়ে যান। এ সময় তাদের রান্না ঘরে ঢুকিয়ে শিশুটিকে মুখ চেপে ধরে ধর্ষন করে। শিশুর মা মেয়েকে খুজতে ওই বাড়িতে যান। এ সময় রান্নাঘরে তাকে দেখতে পায়। মায়ের উপস্থিতি দেখতে পেয়ে ইয়াসিন দ্রুত পালিয়ে যায়। শিশুর মা জানায়, প্র¯্রাব ও পায়খানা করতে জ¦ালা যন্ত্রনা হচ্ছিল। এ সময় আমার মেয়ে ওই ছেলের কথা বলে। পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মনির উল্লাহ জানায়, মেয়েটির জ¦ালা যন্ত্রনা হচ্ছে। ধর্ষণের আলামত ও ডিএনএ পরীক্ষা ও ভিকটিম সাপোর্টের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার দেওয়া হয়েছে।

 

পাঠকের মতামত: