পেকুয়ায় ক্ষুদ্র মাছ ব্যবসায়ীকে আটকিয়ে কমিশন আদায়ের চেষ্টা চালিয়েছে আড়তদার। এনিয়ে মাছ ব্যবসায়ীদের সাথে আড়তদারের বিরোধ তুঙ্গে হয়েছে। এর জের ধরে পেকুয়ায় কবির আহমদ চৌধুরীর বাজারে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে পেকুয়ার ইউএনও মো.মারুফুর রশিদ খান ঘটনাস্থলে যান। বাজারে শান্তি ভঙ্গের আশংকা দেখতে পেয়ে দু’পক্ষকে স্থান ত্যাগ করতে নির্দেশ দেন ইউএনও। ঘটনাটি ঘটেছে, গতকাল ২৩জুলাই শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র পেকুয়া কবির আহমদ চৌধুরীর বাজারের মাছ বাজারে। ওই ঘটনায় উভয়পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। যেকোন মুহুর্তে সংঘর্ষের আশংকায় গতকাল শনিবার সাপ্তাহিক হাটের দিনে পেকুয়া বাজারের মাছবাজারে বিকিকিনি প্রায় দু’ঘন্টা বন্ধ ছিল। ব্যবসায়ীদের দু’পক্ষের ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়াকে কেন্দ্র করে আতংক ছড়িয়ে পড়ে পুরো বাজারে। পেকুয়া বাজারের মাছ ব্যবসায়ীরা জানায় ঘটনার দিন সকালে সদর ইউনিয়নের জালিয়াখালী এলাকার মো.ছবুরের ছেলে ক্ষুদ্র মাছ ব্যবসায়ী আবুল হোসেন মাছ বিক্রির জন্য পেকুয়া বাজারে যায়। একই বাজারের মাছ ব্যবসার আড়তদার ও বারবাকিয়া ফাশিয়াখালী এলাকার শামসুল আলমের ছেলে আলী হোসেন প্রকাশ হাছান তার সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে প্রতিকেজি মাছ বিক্রি বাবদ কমিশন হিসেবে ৫০ টাকা করে দাবি করেন হাছান। দাবিকৃত কমিশন দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে হাছান চড়াও হন আবুল হোসেনের প্রতি। এসময় ক্ষিপ্ত হয়ে হাছান তাকে আড়তে আটকিয়ে রাখে। এখবর ছড়িয়ে পড়লে পেকুয়াবাজারের ব্যবসায়ীরা জড়ো হয়ে আবুল হোসেনকে জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার করে। এসময় ওই ঘটনার জের ধরে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। এদিকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের রোষানল থেকে বাঁচতে হাছান পার্শ্ববর্তী বারবাকিয়া ইউনিয়নের ফাশিয়াখালীর এলাকার লোকজনকে পেকুয়াবাজারে জড়ো করে। এসময় সদর ইউনিয়নের লোকজন বহিরাগতদের বাজার থেকে তাড়িয়ে দিতে জড়ো হয়। এক পর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। পেকুয়াবাজারের সাব ইজারাদার আব্বাস, নাছির ও ইলিয়াস জানায়, মাছ বাজারের সর্বসাধারনের চলাচল পথ বন্ধ করা হয়েছে। আলী হোসেন প্রকাশ হাছান ওই পথ রুদ্ধ করে মাছ প্রক্রিয়াজাত করনের জন্য হিমাগার স্থাপন করে। এসব অপসারনের জন্য তাকে অনুরোধ করলে তিনি উল্টো আমাদের নামে চাঁদাবাজির ভুয়া অভিযোগ উত্থাপন করেন। পেকুয়ায় কিছু মাছ ব্যবসায়ীরা অসাধু ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। ক্রেতারা ঠকছেন তাদের কাছে। ওজনে ও পরিমাপে এরা প্রতিনিয়ত ঠকিয়ে চলেছেন ক্রেতাদের। এসব বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় পেকুয়াবাজারে শৃঙ্খলা বিনষ্ট হবে। সাধারন মানুষ বার বার প্রতারিত হবে। তবে আড়তদার আলী হোসেন প্রকাশ হাছান জানায় আবুল হোসেনের পিতা ছবুর আমার আড়তে নিয়মিত মাছ সরবরাহ করে। আমার কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা দাদন নিয়েছে। এখন আমার আড়তে মাছও দেয়না, পাওনা টাকাও দেয়না। আমি তার কাছ থেকে পাওনা টাকা খুঁেজছি। পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মরুফ রশিদ খান জানিয়েছেন, দু’পক্ষের উত্তেজনা প্রশমিত করতে পুলিশকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
পাঠকের মতামত: