ঢাকা,বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় প্রবাসির বাড়িতে ডাকাতি, স্ত্রীর শ্লীনতাহানি

pekua,,নাজিম উদ্দিন, পেকুয়া ::::

পেকুয়ায় এক প্রবাসির বসতবাড়িতে ডাকাতি সংঘঠিত হয়েছে। এসময় সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের স্বশস্ত্র সদস্যারা অস্ত্র ঠেকিয়ে প্রবাসির স্ত্রীকে শ্লীনতাহানি করে। গভীর রাতে দূর্গম পাহাড়ি এলাকায় ডাকাতদল ওই প্রবাসির বাড়িতে হানা দেয়। এসময় ৪ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ৩৫ হাজার টাকা ও মূল্যবান দ্রব্যাদিসহ প্রায় ২লক্ষাধিক টাকা লুট করে নিয়ে যায়। স্থানীয়রা ডাকাতির সাথে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। গত ৩১ জুলাই রবিবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের বটতলী মাদ্রাসা পাড়া এলাকায় ওমান প্রবাসি মনজুর আলমের বাড়িতে ডাকাতির এ ঘটনাটি ঘটে। আটককৃত মো.সোহেল (২১) বটতলী স্কুলপাড়া আহমদ হোছেনের ছেলে বলে জানাগেছে। পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশ জানিয়েছেন, আটককৃত ব্যক্তিকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ওইদিন গভীর রাতে ৮/১০জনের মুখোশ পরিহিত স্বশস্ত্র ডাকাতদল বটতলী মাদ্রাসা পাড়া এলাকার ওমান প্রবাসি মনজুর আলমের বসতবাড়িতে হানা দেয়। দরজা ভেঙ্গে বাড়িতে প্রবেশ করে ডাকাত দলের সদস্যারা। এসময় বাড়ির সবাইকে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জিম্মি করে। তারা ওই বাড়ি থেকে নগদ টাকাসহ এসব লুট করে নিয়ে যায়। প্রবাসির স্ত্রী রুজিনা আকতার জানিয়েছেন, ডাকাতদল দরজা ভেঙ্গে বাড়িতে ঢুকে নগদ ৩৫ হাজার টাকা, ৪ভরি স্বর্ণালংকার ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। তারা ধারালো অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র তাক করে আমি ও আমার ছেলে হোসাইন মিয়াকে জিম্মি করে ফেলে। এক পর্যায়ে অসৎ উদ্দেশ্য ডাকাতদল আমাকে শ্লীনতাহানি করে। পরে আমাকে মারধর করা হয়েছে। এর আগেও দুবার আমার বাড়িতে ডাকাতি হয়েছিল।  আমি একজনকে চিনেছি। স্থানীয় টৈটং ইউপির চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী এর সত্যতা স্বীকার করেছেন। এবিষয়ে তিনি জানান, খবর পেয়ে ওই স্থানে তাৎক্ষনিক গ্রাম পুলিশ পাঠাই। তারা বটতলী মাঠ থেকে সোহেলকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। ডাকাতদের অবস্থান জানার পর আমি বাঁশখালী ও টৈটং সীমান্তে গিয়েছিলাম এদের পাকড়াও করতে। পেকুয়া থানার ওসি জিয়া মো. মোস্তাফিজ ভুইয়া বলেন, আটক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সেটি পুলিশ অধিক গুরুত্বে সাথে ক্লু উদঘাটনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান চলছে।

পাঠকের মতামত: