ঢাকা,রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় পুলিশ কর্মকর্তার অভিনব শাস্তি ‘সিজদা’র কবলে নিরীহ চালক!

si towhid pekuaমুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া :::

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় ট্রাক চালক দাড়ি-টুপিওয়ালা এক নিরীহ চালককে এবার প্রকাশ্যে রাস্তায় ‘সিজদা‘ দিতে বাধ্য করে অভিনব শাস্তি দিয়েছেন খোদ পুলিশের একজন কর্মকর্তা! আর পুলিশ কর্মকর্তার এহেন অভিনব নব্য শাস্তি দেখে হতবাক হয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা। এ ঘটনায় পুরো পেকুয়াজুড়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ওই পুলিশ কর্মকর্তার অপসারণও দাবী উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। ঘটনাটি ঘটেছে, আজ ১৬ ফেব্রেুয়ারী বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পেকুয়া উপজেলার জনাকীর্ণ চৌমুহুনী ষ্টেশনের চৌরাস্তার মোড়ে।

 প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার সময় পেকুয়া থানার এস আই তৌহিদ পেকুয়া চৌমুহুনী মোড়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এসময় তার গা ঘেষেই একটি মালবাহি ট্রাক নিয়ে চৌমুহুনী মোড় ঘুরতে গিয়েই বাধে বিপত্তি। পুলিশ কর্মকর্তা ইশারা দিয়ে ওই চালককে গাড়ী থেকে নামান। এরপরেই ওই ট্রাক চালককে রাস্তার মাঝখানেই নিয়ে এসে ‘সিজদা’ দিতে বাধ্য করেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা! অনেক আকুতি-মিনতি করেও রেহাই পায়নি নিরীহ ট্রাক চালক মীর কাসেম (৩৬)। তিনি কক্সবাজারের নাজিরারটেক এলাকার নুরুল আলমের পুত্র বলে জানা গেছে।

si tohid পেকুয়া থানার এস আই তৌহিদ কর্তৃক শারিরীক নির্যাতনের শিকার ট্রাক চালক মীর কাসিম অভিযোগ করে ভুক্তভোগী মীর আরো কাশেম বলেন, আমি কক্সবাজার থেকে মালবোঝাই একটি ট্রাক গাড়ি নিয়ে পেকুয়া হয়ে চট্টগ্রামের উদ্দ্যেশে যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে পেকুয়া চৌমুহনী এলাকায় আমাকে পিছন থেকে ডাক দিয়ে থামায় এক লোক। কাছে আসতে দেখলাম তিনি পুলিশের লোক। পুলিশ দেখে আমি গাড়ি থেকে নামতেই তার গায়ে গাড়ি লাগার অযুহাতে আমাকে কানধরে সিজদার নির্দেশ দেয়। এতে আমি আপত্তি করলে তিনি অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে আমাকে শত শত মানুষের সামনে কানধরিয়ে রাস্তার মাঝখানে সিজদা করায়। এ ঘটনার আমি সুষ্ঠ বিচার দাবী করছি।

 পেকুয়ার সচেতন মহল অভিযোগ করেছেন, একজন দাড়িওয়ালা ট্রাক চালককে যেভাবে জনসম্মুখে সড়কে সিজদা দিতে বাধ্য করল তা কোন সভ্য সমাজ, কোন বিবেকবান মানুষ মেনে নিতে পারেনা। ওই পুলিশ কর্মকর্তা পুরো পুলিশ বাহিনীকে কলংকিতদ করেছে। তাই তার উপযুক্ত শাস্তি চাই।

 অভিযোগের ব্যাপারে জানতে ঘটনার পর পরই পেকুয়া থানার এস আই তৌহিদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোন ধরনের মন্তব্য করতে রাজি হননি।

 পেকুয়া থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই বিমল দেব জানান, এ বিষয়ে ওসি মহোদয় উর্দ্ধতন পুলিশ কর্মকর্তাদের অবহিত করেছেন।

 পেকুয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. মনজুর কাদের জানান, এ ঘটনায় তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পাঠকের মতামত: