ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় পুলিশ উদ্ধার করল গ্রাম পুলিশকে

পেকুয়া প্রতিনিধি:

পেকুয়ায় পুলিশ উদ্ধার করল গ্রাম পুলিশকে। রাতে মহিলার সাথে কথোপকথন হয়েছে মুঠোফোনে। এ সময় ওই মহিলা গ্রাম পুলিশকে তার বাড়িতে আসতে বলেন। এ সময় স্থানীয়রা গ্রাম পুলিশকে ওই মহিলার বাড়ি থেকে আটক করে। এক পর্যায়ে এক সাবেক ইউপি সদস্যের বাড়িতে তাকে রাতে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে পরের দিন সকালে ইউপি সদস্যের বাড়ি থেকে পুলিশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গ্রাম পুলিশ থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ১০ টার দিকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। উপজেলার টইটং ইউনিয়নের পেন্ডারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গ্রাম পুলিশের নাম রাজা মিয়া(৫২)। তিনি টইটং ইউপির ৬ নং ওয়ার্ডের কর্তব্যরত গ্রাম পুলিশ বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। স্থানীয়রা জানায়, গত শুক্রবার ২৪ নভেম্বর রাত সাড়ে ১১ টার দিকে রাজা মিয়াকে আটক করে একটি বাড়ি থেকে। এ সময় বিক্ষুদ্ধ লোকজন তার বিরুদ্ধে ক্ষেপে যান। টইটং ইউপির ৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য শাহাদাত হোসাইন তাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। বিষয়টি নিয়ে পরষ্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা জানায়, গ্রাম পুলিশ রাজা মিয়া ও পেন্ডারপাড়ার জাফর আলমের ২য় স্ত্রী জিগারা বেগম এর মধ্যে প্রায় সময় মুঠোফোনে যোগাযোগ ছিল। ওই দিন টইটং ইক্বরা স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে ওয়াজ মাহফিল চলছিল। এ সুবাধে লোকজন সেখানে সমাগম ঘটে। পার্শ্ববর্তী স্থানে জাফর আলমের বাড়ি। সেখানে রাজামিয়াকে স্থানীয়রা আটক করে। গ্রাম বাসীরা জানায়, রাজা মিয়া দু:চরিত্রের। তার পূর্ব থেকে নৈতিক স্খলন জনিত ভাব প্রকাশ পায়। অপর একটি সুত্রের দাবী গত ইউপি নির্বাচনে যুবদল নেতা শাহাদাত হোসাইন ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন। ফৌজধারী একাধিক মামলা থাকায় তিনি শপথ নেন নি। ইউপিতে তার ওয়ার্ডটি সাধারন সদস্যপদটি বিলুপ্তি হয়েছে। রাজা মিয়া ওই ওয়ার্ডে রিলিপ বিতরনসহ ইউপির কার্যক্রমে সম্পৃক্ত। এ সুবাধে তার সাথে শত্র“তা ভাব তৈরী হয়েছে। ওই দিন ওই মহিলাকে দিয়ে তাকে চক্রান্তে ফাঁসাতে জাল পাতানো হ য়েছিল। তবে স্থানীয়রা জানায়, রাজা মিয়া অত্যন্ত দুশ্চরিত্রের। জাফর আলমের স্ত্রী জিগারা বেগম জানায়, সে আমাকে বিরক্ত করত। আমি ও আমার স্বামী ওই দিন ওই লম্পটকে আটকাতে একমত ছিলাম। স্থানীয়দের সহায়তায় আটকিয়ে তাকে মেম্বারের কাছে দিয়ে দিই। রাজা মিয়া জানায়, আমার কোন দোষ ছিল না। তারা আমার প্রতিবেশী। প্রায় সময় কথাবার্তা বলি। ওই মহিলার স্বামী ছিল। গল্প গুজব করতে গিয়েছিলাম। টইটং ইউপির চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী জানায়, গ্রাম পুলিশ অন্যায় করলে তারা পরিষদে সোপর্দ করত। আমি তো অন্যায়কে কখনোও প্রশ্রয় দেয়নি। অথচ সেটি না করে তারা তাকে সারারাত আটকিয়ে রেখেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। অন্যায়ভাবে কেউ গ্রাম পুলিশকে নিয়ে খেললে যেমন তাকেও সুযোগ দেব না। একইভাবে গ্রাম পুলিশের চারিত্রিক বিষয়টি প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেব।

###############

পেকুয়ায় কুপিয়ে জখমের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা

পেকুয়া প্রতিনিধি:

পেকুয়ায় কুপিয়ে জখমের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে থানায়। লবণ মাঠের জমির বিরোধ নিয়ে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের কাঞ্চনপাড়া এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় উভয়পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হয়েছে। গত ২৩ নভেম্বর সকালে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ দিকে ওই ঘটনায় থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা রেকর্ড হয়েছে। ৬০ শতক জমি নিয়ে মৃত ইসমাইলের ছেলে নুরুল আমিন গং ও মৃত রুস্তম আলীর ছেলে আলমগীর গংদের বিরোধ ছিল। ওই দিন সকালে নুরুল আমিন গং ভাড়াটে লোকজন নিয়ে জমি দখলে নিতে যায়। এ সময় আলমগীর গংদের সাথে সংঘর্ষ হয়। এ সময় আলমগীর গংদের মোহাম্মদ হোসেন আলী প্রকাশ বাবুল সহ ওই পক্ষের ৬ জন আহত হন। এদের মধ্যে বাবুলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্স থেকে চমেক হাসপাতালে রেফার করা হয়। তাকে মাথায় কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। একইভাবে প্রতিপক্ষের হামলায় নুরুল আমিন গংদের মোহাম্মদ ছাবেরের স্ত্রী খতিজা বেগম (৪০) আহত হয়েছে। ওই পক্ষের নুরুল আমিনও সামান্য আহত হয়েছে। এ দিকে পেকুয়া থানা পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা রেকর্ড করেছেন। ২৪ নভেম্বর নুরুল আমিন বাদী হয়ে ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেন। যার নং ১০/১৭। মামলায় ১ নং আসামী করা হয়েছে গুরুতর জখমী মোহাম্মদ হোসন আলী প্রকাশ বাবুল (৪২)কে, একইভাবে পরের দিন ২৫ নভেম্বর থানায় আলমগীর বাদী হয়ে পৃথক মামলা রুজু করে। যার নং ১১/১৭। ওই মামলায় অপর মামলার বাদী নুরুল আমিনকে ১ নং আসামীসহ ৮ জনকে বিবাদী করা হয়। অভিযোগ উঠেছে, সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ প্রকৃত জখমীদের আইনী সহায়তা থেকে বঞ্চিত করেছেন। অধিকতর যারা হামলাকারী মামলায় তাদেরকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। আলমগীর গং সংঘর্ষে জখমী সহ আহত হয়েছেন ৬ জন। অপরদিকে নুরুল আমিন গং ১ জন মহিলা সামান্য জখমী সহ আহত ওই পক্ষের ২ জন। পুলিশের পাল্টাপাল্টি মামলা রেকর্ড নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ওসি জহিরুল ইসলাম জানায়, দু’পক্ষ আহত হয়েছে। তারা এজাহার দিয়েছেন। দু’পক্ষকে আইনী সহায়তা দেওয়া হয়েছে। কেউ নিরীহ ও নিরাপরাধ হয়ে থাকলে পুলিশ তদন্তের মাধ্যমে তাকে অব্যাহতি দেবে।

##################

দেনা শোধ করতে নীড় বিক্রির ঘোষনা দরিদ্র ব্যক্তির

পেকুয়া প্রতিনিধি:

দেনা শোধ করতে এবার নিজের মাথা গোজার ঠাইটুকু বিক্রির ঘোষনা দিলেন দরিদ্র ব্যক্তি। সমাজের সুবিধা বঞ্চিত শ্রেনীর তালিকায় দরিদ্র এ কৃষক। এক সময় সহায় সম্পত্তি ছিল। সংসারে সক্ষমতা ফিরাতে কৃষক নিজের যা ছিল তা বিক্রি করে নি:স্বার্থবান হওয়ার পথে। ছেলে বড় হয়েছে। তবে সবাই অবাধ্য। সংসারের প্রতি নেই কারও দায়বদ্ধতা। মাতা-পিতা অক্ষম। শারীরিক অক্ষমতায় তাদের শরীর কর্মক্ষম। এমতাবস্থায় ছুলায় আগুন না জ্বালার মত পরিস্থিতি। একবেলা আহার করলে আরেক বেলা যোগাড় করা দুষ্কর। এমনিতর মুহুর্তে দেনায় পড়েছেন ওই দরিদ্র ব্যক্তি। সংসার চালাতে সোসাল ডেভলপমেন্ট ফর আশা ব্যাংক থেকে কিস্তিতে লোন নিয়েছেন ৭০ হাজার টাকা। প্রতি সপ্তাহে কিস্তি পরিশোধ করতে হয়। নাল যে টুকু জমি ছিল সেটি আগে বিক্রি হয়ে গেছে। বর্তমানে বিক্রিযোগ্য নাল জমি নেই। আছে শুধুমাত্র মাথাগোজার ঠাইটুকু। যেখানে বউ বাচ্চা নিয়ে থাকেন সেটি একমাত্র মাথা গোজার নীড়। দেনা শোধ করতে বিক্রির ঘোষনা দিলেন এই নীড়টুকু। উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের মধ্যম উজানটিয়া ভেলুয়ারপাড়ায় বাড়ি বিক্রির এ ঘোষনা দিয়েছেন ওই এলাকার কৃষক নুরুল আলম। ৪৫ শতক জমির মালিক নুরুল আলম। উজানটিয়া মৌজায় ৬২৭ ও ১২৭৮ খতিয়ানে বাড়িভিটাসহ তার মোট জমি এ টুকু। বর্তমানে কিছু ভূমিদস্যু তার জমিটুকু কেড়ে নিতে তৎপর। একদিকে দেনার যন্ত্রনা অন্যদিকে ভূমিগ্রাসী চক্রের বার বার হানা এ দুটি তাকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করেছে। অর্থনৈতিক মন্দাভাব এর চেয়ে পেশীশক্তির তাকে বার বার নিগৃহীত করেছে। এমন নিদারুন যন্ত্রনায় তিনি ঘোষনা দিলেন নিজের মাথা গোজার ঠাইটুকু বিক্রি করে হবেন নি:স্বার্থবান। জানা গেছে, ছমদ আলীর পুত্র আহমদ ও মোজাফ্ফরের পুত্র মোহাম্মদ হাবিব প্রতিনিয়ত তাকে উচ্ছেদ করতে হয়রানিসহ প্রাণনাশ চেষ্টাও করছে। জীবন বাচানো ও দেনা পরিশোধ এ দুটি ভাবনা নিয়ে দরিদ্র নুরুল আলম বাড়ি বিক্রির ঘোষনা দিলেন।

#############

পেকুয়ায় র‌্যালী ও সাংস্কৃতিক আয়োজন

পেকুয়া প্রতিনিধি:

পেকুয়ায় র‌্যালী প্রদক্ষিন ও সাংস্কৃতিক আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। এ সময় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি হানিফ চৌধুরীর সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা আ’লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য এডভোকেট কামাল হোসেন, জেলা আ’লীগের সদস্য এস,এম গিয়াস উদ্দিন, উম্মে কুলসুম মিনু, উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক আবুল কাসেম, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান(নারী) লুৎফা হায়দার রনি, আ’লীগ নেতা বখতেয়ার উদ্দিন চৌধুরী, পেকুয়া থানার ওসি জহিরুল ইসলাম খান প্রমুখ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহাবুব উল করিম এর সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজাখালীর চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুর, শ্রমিকলীগ সভাপতি নুরুল আবছার, ছাত্রলীগ সভাপতি কফিল উদ্দিন বাহাদুর, স্বেচ্ছাসেবকলীগ জেলা সদস্য শাহাদাত হোসাইন, ছাত্রলীগ নেতা জকরিয়া, ইয়াসিন, মনসুর আলম নানক, শাহাজান মিয়া, শওকত প্রমুখ। এ দিকে ইউনেস্কো কর্তৃক বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মহান নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষনকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেয়। ওই দিন সারাদেশে ব্যাপক কর্মসুচী হাতে নেয়া হয়েছে। ওই অংশ হিসেবে উপজেলা প্রশাসন পেকুয়া কর্মসুচী পালন করে। সকালে র‌্যালী সড়ক প্রদক্ষিন করা হয়। জনপ্রতিনিধি, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবর্গ র‌্যালীতে অংশ নেয়। দুপুরে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়। পরে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে সাংস্কৃতিক আয়োজন চলে। দেশাত্মবোধক সংগীত সহ বঙ্গবন্ধুর আত্ম জীবনী ও গৌরবময় অধ্যায় নিয়ে সংগীত মঞ্চস্থ হয়েছে।

পাঠকের মতামত: