চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাট পুলিশ ফাড়ির সামনে এলাকায় জমি দখলকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে চলছে উত্তেজনা। এ নিয়ে যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় এলাকাবাসি।
অভিযোগে উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের বৈরাগিরখীল গ্রামের মরহুম ইছহাক মাস্টারের কন্যা নুর নেয়াজ বেগম প্রীতি জানান, আমার মা দিলদার বেগমের নামীয় রয়েছে বি,এস ১৯ ও ৬৭ দাগে কিছু জায়গা। তার মা’র রয়েছে ৭জন ওয়ারিশ। উক্ত জায়গায় শফিকুর রহমান নামের এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে জবর দখল থাকায় তারা দখলে যেতে পারছে না। ফলে এ জমি দখল করতে গিয়ে কয়েক বার শফিকুর রহমানের সাথে দিলদার বেগমের ওয়ারিশদের সাথে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ট বিচার চেয়ে দিলদার বেগমের ওয়ারিশগণ ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদে শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে একখানা অভিযোগ দায়ের করে। এতে উভয় পক্ষের কাগজপত্র দেখে যে বি,এস ১৯ ও ৬৭ দাগ থেকে শফিকুর রহমান ১ একর ৫০ শতক জমি শামসুল হুদা চৌধুরী থেকে ক্রয় করে ১ একর ৬৫ শতক জায়গা জবর দখল করে রেখেছে। এবং দিলদার বেগমের ওয়ারিশগণের পক্ষে রায় দেন ২ কানি ১৮ কড়া। শফিকুর রহমান তার নামে ক্রয় করা উক্ত জায়গা কোটিপতি, জমি দখলবাজ বাদল বাবু গং এর কাছে বিক্রি করে দেয়। ক্রেতা বাদল বাবুু গং রা দিলদার বেগমের ওয়ারিশগণের জায়গা সহ দখল করে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ কাজ শুরু করে। এ সংবাদ পেয়ে দিলদার বেগমের কন্যা নুর নেয়াজ বেগম প্রীতি গত ৫ ফেব্রুয়ারী বাঁধা দিতে গেলে বাদল বাবু লালিত সন্ত্রাসী আবছার বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে প্রীতিকে তাড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় দু’পক্ষের মধ্যে চলছে চরম উত্তেজনা। যে কোন মুহুর্তে ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। এ ব্যাপারে এলাকাবাসি উক্ত ঘটনা নিরসনে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। #
#################
চকরিয়ায় বসতভিটা দখলে হামলা-ভাংচুর মারধরে দুই মহিলা আহত , মালামাল লুট
এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::
চকরিয়া পৌর এলাকায় বসতভিটা দখলে নিতে হামলা ও ভাংচুর চালিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। হামলাকালে পরিবারের ২জন মহিলাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। ভাংচুর করা হয়ে সীমানা ওয়াল ও লুট করা হয়েছে পরিবারের ৫ভরি স্বর্ণালংকার ও আলমারিতে রক্ষিত নগদ ৫০হাজার টাকা। এনিয়ে ওই পরিবারে আতঙ্ক বিরাজ করছে। শনিবার বেলা ১১টার দিকে পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড দক্ষিণ কাহারিয়াঘোনা সালাম মাস্টার পাড়া এলাকায় আবদুল করিমের বাড়িতে ঘটেছে এঘটনা।
অভিযোগে জানা গেছে, মরহুম আলী আহমদের পুত্র আবদুল করিম তার পৈত্রিক ২৫শতক ও ক্রয় সূত্রে ৮শতক জমিতে দীর্ঘকাল ধরে বসতভীটা নির্মাণ করে শান্তিপূর্ণ ভোগ দখলে রয়েছেন। এনিয়ে পৈত্রিকভাবে বিএস খতিয়ান ৮৬ ও ক্রয়কৃত জমি নিয়ে সৃজিত বিএস খতিয়ান নং ২০০১ বিএস দাগ নং ৩৪৯৩ এবং ৩৪৮৫ রয়েছে। বিগত ১৯৯৭সনে চকরিয়া সহকারি জজ আদালত,কক্সবাজার-এ অপর মামলা নং ১৭২/৯৭ মামলায় যাবতীয় বৈধ কাগজপত্র পর্যালোচনা করে ১৯৯৮সনের ১৮আগষ্ট আবদুল করিম গংয়ের পক্ষে বিজ্ঞ আদালত ডিক্রি প্রচার করেন। কিন্তু স্থানীয় একই এলাকার মৃত আবদুর রশিদের পুত্র মো: আলম গং দীর্ঘদিন ধরে ওই জমি জবর দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছিলো। সর্বশেষ শনিবার সকালে স্থানীয় আলম, জালাল, বাবুমিয়া, আরমান, এমদাদ মেম্বার, মামুন, আনোয়ার হোসেন, আজমত আলি, নুরুন্নবী, মনির, আবদুল আলিম ও সাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে ২০/২৫জনের একদল সশস্ত্র দূর্বৃত্ত আবদুল করিমের বসতবাড়িতে ঢুকে অতর্কিত হামলা ও ভাংচুর চালিয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়ে চকরিয়া থানার অপারেশন অফিসার (এসআই) রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশদল ঘটনাস্থলে পৌছলে হামলাকারী সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এসময় হামলায় আহত আবদুল করিমের স্ত্রী মাফিয়া বেগম (৬৫) ও পুত্র বধু শাহিনা আক্তার (৩০)কে উদ্ধার করে স্থানীয়দের সহায়তায় চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এনিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার মামলার প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানাগেছে।
চকরিয়া থানার ওসি জহিরুল ইসলাম খান বলেন, ঘটনার বিষয়ে অবগত হয়েছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে মামলা রুজু সহ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।##
পাঠকের মতামত: