ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

খুটাখালীতে পাগলা কুকুরের উপদ্রুব আতংকিত পথচারি!

সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও, কক্সবাজার ::

চকরিয়া উপজেলার খুটাখালীতে আশংকাজনক হারে বেড়ে গেছে বেওয়ারিশ-পাগলা কুকুরের উপদ্রুব। ফলে ভয়ভীতির মধ্যে রয়েছে পথচারিরা। দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়নের বিভিন্ন যায়গায় ওই সব বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রুব থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উদাসীন রয়েছে বলে মনে করেন স্থানীয়রা। পাগলা কুকুরের দল বিভিন্ন সড়ক,বাজার এবং গ্রামাঞ্চলে বিচরন করছে যার কারনে সকল বয়সী মানুষ আতঙ্কিত। তবে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে বেওয়ারিশ কুকুর নিধন জরুরি বলে দাবী করছেন স্থানীয় বাসিন্দা এবং কুকুরের আক্রমণের শিকার ভুক্তভোগী অনেকে।

ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, শত শত পাগলা কুকুর এদিক-ওদিক ঘুরছে বেপরোয়াভাবে। খাদ্য সন্ধানী ওই সব কুকুর পাগল হয়ে একাধিক মানুষকে আহত করেছে বলে জানা গেছে। কেউবা সখের বসে বাড়িতে পোষার কারণে বৃদ্ধি পেয়েছে আবার এলোপাতাড়ি ভাবেই বিভিন্ন যায়গায় বেড়ে উঠেছে এসব কুকুর। যার কারণে আতঙ্কিত হচ্ছে সাধারন জনগন। অধিকাংশ কুকুর পাগলা হয়ে শিশু থেকে বৃদ্ধ এমনকি বাইসাইকেল, মটর সাইকেল ও অন্যান্য ছোট খাটো যান চালানো অবস্থায় পথচারীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে কামড়িয়ে আহত করেছে। এছাড়াও বাড়ির হাস মুরগি গরু ছাগলসহ অন্যান্য প্রাণীদের আহত করছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা।

ইউনিয়নের মেদাকচ্চপিয়ার বাসিন্দা মোঃ আলী হোসেন বলেন, সম্প্রতি ওই পাগলা কুকুরে কামড়ানোর কারণে তাকে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। আর্থিকভাবে পাঁচ হাজার টাকা খরচও হয়েছে। কিন্তু এখনো শারীরিক অস্বস্থি ও কুকুরের ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পথ চলতে হয় তাকে। এলাকায় পাগলা কুকুরের উপদ্রুবে ছোট্ট বাচ্চাদের আতঙ্কে পথ চলতে হচ্ছে।

ইউনিয়নের শান্তি বাজারের ব্যবসায়ী মো: হোসেন বলেন, কুকুরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সাধারন জনগন। প্রতিনিয়ত চলতি পথে কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বাজারে চলাচল করতে আতঙ্কিত হতে হচ্ছে। জানা মতে শহরাঞ্চলে বেওয়ারিশ কুকুর নিধনের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়। গ্রামাঞ্চলেও ওই ব্যবস্থা চালু হলে পাগলা কুকুর থেকে সাধারন মানুষ রক্ষা পাবে।

স্থানীয় চিকিৎসক ফখরুল কায়ুম বলেন, পাগলা কুকুর জনজীবনে বড়ই হুমকি স্বরূপ। কোন ব্যক্তিকে কামড়ালে তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে কষ্ট হয়। তাছাড়া গরু-ছাগলকে কামড়ালে তারাও কুকুরের মত আচরণ করে। বিষের যন্ত্রণায় এমনকি মানুষও একই আচরণ করে এরই নাম জলাতঙ্ক রোগ।

পাগলা কুকুরের উপদ্রুব ও সাধারণ মানুষকে ক্ষতিগ্রস্থ ও আতঙ্ক থেকে রক্ষা করতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করছেন ভুক্তভোগীরা ।

পাঠকের মতামত: