আতিকুর রহমান মানিক, কক্সবাজার ::
কক্সবাজার সদরের ইসলামাবাদে তিন দিনের প্রকাশ্য জুয়ার আসর সাত লাখ টাকায় নিলাম ডেকে (ইজারা) নিয়েছে আন্তঃজেলা জুয়াড়ীচক্র। বিনিয়োগকৃত টাকা লাভসহ তুলে নিতে তারা রকমারী জুয়ার পাশাপাশি মাদকে ও পতিতার হাট বসিয়েছে এখানে। গত বুধবার থেকে উক্ত জুয়া-পতিতা ও মাদকের হাট বসলেও স্হানীয় প্রশাসন রহস্যজনকভাবে নীরব। এতে হুমকির মুখে পড়েছে এলাকার আইনশৃংখলা।
এলাকাবাসী জানান, বর্ণিত ইউনিয়নের পশ্চিম টেকপাড়ায় স্হানীয় নুরুচ্ছাফার নেতৃত্বে একদল বখাটে তিনদিনব্যাপী কথিত বলীখেলা ও বৈশাখী মেলার আয়োজন করে। নামে বলীখেলা হলেও এতে বসানো হয় জুয়াখেলার মহা আসর। উক্ত বলীখেলা আয়োজনের কয়েকদিন আগে থেকে জুয়ার আসর ডাক নেয়ার জন্য দরকষাকষি শুরু করে জুয়াড়ীরা। অবশেষে সাত লাখ টাকায় রফা হয় জুয়ার ডাক। সে মোতাবেক গত বুধবার সকাল থেকে বসানো হয় জুয়ার আসর। সেখানে ছগুটি, তিনগুটি, কেরকেরি, বাঘগরু, তিনতাস ও হারুখেলাসহ রকমারী জুয়া চলছে রাতদিন। পাশাপাশি চলছে মাদকের জোয়ার। জুয়াড়ীদের মনোরঞ্জনে পতিতাদের আনাগোনা চলছে এবং স্হানীয় ও বহিরাগত অস্ত্রধারী একদল সন্ত্রাসী এখানে দিনরাত অবস্হান করছে বলে জানা গেছে। টেকপাড়া জামে মসজিদ ও হেফজখানার ১০০ গজের মধ্যে শুক্রবার জুমার দিনেও উক্ত মদ-জুয়া ও বেশ্যাপনার আসর বসানোয় এলাকাবাসী চরম ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সুত্র জানায়, উক্ত জুয়াখেলা নির্বিঘ্নে সম্পাদনের জন্য ঈদগাঁও পুলিশ তদন্তকেন্দ্র ও সাংবাদিকদের কে মোটা অংকের বিনিময়ে ম্যানেজ করা হয়েছে। তাই তিনদিন ধরে রমরমা জুয়ার আসর চললেও পুলিশ কোন বাধা দেয়নি অথবা কোন পত্রিকায় নিউজ আসেনি। ব্যবসা ভাল হওয়ায় জুয়ার আসরের পরিধি আরো বাড়ানোর চেষ্টা করছে আয়োজকরা। বিগত একমাসে পোকখালী, জালালাবাদ, চৌফলদন্ডী, ভারুয়াখালী ও ইসলামপুরসহ বৃহত্তর ঈদগাঁওর বিভিন্নস্হানে একই কায়দায় অম্ততঃ আরো ২০ টি এরকম জুয়ার আসর সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে নবাগত সদর উপজেলা কর্মকর্তা মোঃ শাহীনুল ইসলাম বলেন, ইসলামাবাদে কোন বলীখেলার অনুমতি দেয়া হয়নি ও বলীখেলার নামে উক্ত জুয়ার আসর বন্ধে ব্যবস্হা নেয়া হচ্ছে।
পাঠকের মতামত: