২০০১ সালে বাবার পরিচয় জানতে প্রাইভেট ডিটেক্টিভের কাছে গিয়েছিলেন আমেরিকার বাসিন্দা দুই ব্যক্তি। তার পর ১৫ বছর ধরে চলে তদন্ত। ২০০১ সাল থেকে চলা এই তদন্তের শেষে জানা যায়, তাদের বাবা শুধুমাত্র তাদের বাবাই নন। তাদের মতো আরও ১২৯৮ জনের বাবা তিনি! এবং তিনি ৮৭ বছরের অবসরপ্রাপ্ত এক পোস্টম্যান।
ওই বেসরকারি গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মী জানান, ১৫ বছর ধরে তারা খোঁজখবর করেছেন। ডিএনএ টেস্ট করা হয় বহু মানুষের। আর দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে চলা ডিএনএ টেস্টের সেই রিপোর্ট সত্যিই ছিল তাক লাগানো। শুধু ওই দুই ব্যক্তিই নন, তাদের তদন্ত অনুযায়ী ওই পোস্টম্যানের ঔরসে মোট ১৩০০ জনের জন্ম হয়!
কী বলছেন ৮৭ বছরের ওই বৃদ্ধ?র এক সহস্রেরও বেশি সন্তানের খবর শুনে এতটুকু চিন্তিত বা লজ্জিত- কোনোটাই নন তিনি। উল্টে তার মনে পড়ে গিয়েছে যৌবনের সুন্দর সেই
দিনগুলির কথা। তিনি বলেন, ‘‘সে সময়ে দিনগুলো খুব ভাল ছিল। মহিলামহলেও আমি খুব জনপ্রিয় ছিলাম।’’ তবে, বাবার এই কাণ্ডের কথা জানার পরও তার বিরুদ্ধে কোনো আইনত ব্যবস্থা নেননি সন্তানেরা।’’ – সংবাদমাধ্যম
পাঠকের মতামত: