নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার :: বান্দরবানের লামা উপজেলায় ১২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে দৃষ্টি নন্দন একটি মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। তৃণমূল পর্যায়ে ইসলামী জ্ঞানের চর্চা ও গবেষণা কার্যক্রমের প্রসার ঘটাতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কাজের তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে গণপূর্ত অধিদপ্তর বান্দরবান। এ মডেল মসজিদের রূপকার হচ্ছে, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কাজের দায়িত্ব পাওয়া ঠিকাদারী প্রতিষ্টান মেসার্স প্রমিনেন্ট ইঞ্জিনিয়ারের মালিক ইঞ্জিনিয়ার মো. আলমগীর জানান, গত আগষ্ট মাসে গণপূর্ত অধিদপ্তর থেকে তাকে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। তারা ইতিমধ্যে পুরাতন মসজিদটি ভেঙ্গে পাইলিংয়ের জন্য প্রাথমিক কাজ শুরু করেছেন। ২ বছরের মধ্যে মসজিদের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন হবে বলে ওই প্রতিষ্টানের মালিক জানিয়েছেন।
গণপূর্ত বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, এ মসজিদটি হবে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ইসলামিক স্থাপত্যের ঐতিহ্যমাখা। এটি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে ইসলামের রীতিনীতি পালন ও গবেষণার কেন্দ্র হিসেবে গৌরবোজ্জ্বল আলো ছড়িয়ে পড়বে স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণের মাঝে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার মূলক প্রকল্প হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ‘প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় লামা উপজেলায় এটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্টান সুত্রে জানা গেছে, ১২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ব্যয়ে চার তলার ফাউন্ডেশনে তিন তলা ও জেলা সদর পর্যায়ে ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে চার তলার ফাউন্ডেশন চার তলা বিশিষ্ট মসজিদ নির্মাণ করা হবে। অনুমোদিত প্রকল্পের নকশা অনুযায়ী এ মডেল মসজিদের গ্রাউন্ড ফ্লোরে গাড়ি পার্কিং, ইমাম ট্রেনিং সেন্টার, প্রতিবন্ধীদের জন্য নামাজের কক্ষের ব্যবস্থা থাকবে।
এছাড়াও দ্বিতীয় তলায় থাকছে প্রধান নামাজ কক্ষ ও কনফারেন্স কক্ষ। আর তৃতীয় তলায় থাকছে মহিলা ও পুরুষদের জন্য পৃথক নামাজের স্থান, রিসার্চ সেন্টার, মক্তব এবং ইসলামিক লাইব্রেরীসহ বিভিন্ন সুবিধা। চতুর্থ তলাতে থাকবে কোরআন শিক্ষা কেন্দ্র, তাহফিজ সেন্টার, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমের কক্ষ ছাড়াও অতিথি কক্ষ। ইতিমধ্যে নতুন মডেল মসজিদ নির্মাণের জন্য লামা উপজেলার কোর্ট জামে মসজিদের পুরাতন ভবন ভেঙে ফেলা হয়েছে।
এ মসজিদের খতিব আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা আজিজুল হক বলেন, সরকারের মডেল মসজিদ নির্মাণের লক্ষে পুরাতন মসজিদটি ভেঙে ফেলায় বর্তমানে গণ পাঠাগারে নামাজ আদায় করা হচ্ছে। এখানে ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের পক্ষ থেকে ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে পাঠাগারকে ২ বছর পর্যন্ত মসজিদ হিসেবে ব্যবহার করার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের সত্যতা নিশ্চিত করে বান্দরবান গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সৌমেন মল্লিক বলেন, যথা সময়ে মসজিদ নির্মাণের কাজ সমাপ্ত করার জন্য কার্যাদেশ পাওয়া ঠিকাদারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে লামা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল জানান, তার উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধীকার প্রকল্প থেকে একটি দৃষ্টি নন্দন মসজিদ নির্মিত হওয়ায় তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।#
পাঠকের মতামত: