কক্সবাজার প্রতিনিধি :: কক্সবাজার শহরে পর্যটন এলাকায় আবাসিক হোটেল কক্ষ থেকে ‘পিছনে হাত বাধা অবস্থায়’ অজ্ঞাত এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ; এ ঘটনার পর থেকে কথিত স্বামী পরিচয় দানকারি ব্যক্তি পলাতক রয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, দম্পতি পরিচয়ে হোটেল কক্ষ ভাড়া নেওয়া ওই নারী ও কথিত স্বামীর নাম এবং ঠিকানা নিবন্ধন খাতায় নথিভূক্ত করা হয়নি। এমন কি হোটেলটিতে নেই কোন সিসি ক্যামেরা।কক্সবাজার সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আতিকুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেল জোন এলাকার আবাসিক হোটেল ‘নির্জন রিসোর্ট’ থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।নিহত নারীর নাম ও পরিচয় জানা না গেলেও তার আনুমানিক বয়স ২৫/২৬ বলে জানান এ উপ-পরিদর্শক।
আতিকুল বলেন, বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় হোটেল-মোটেল জোনের ‘নির্জন রিসোর্ট’ নামের এক আবাসিক হোটেলের (কটেজ) কক্ষে অজ্ঞাতনামা এক নারীর মৃতদেহ পড়ে থাকার খবর দেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে হোটেলটির ৬ নম্বর কক্ষের ভিতর থেকে এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
” এসময় নারীটির দু’হাত পিছনে ওড়ানে দিয়ে মুড়িয়ে রেখে হোটেল কক্ষের খাটে শোয়ানো অবস্থায় পাওয়া যায়। হোটেল কক্ষটির দরজা বাইর থেকে খোলা অবস্থায় পাওয়া গেছে।
উপ-পরিদর্শক (এসআই) বলেন, ” শরীরের কোথাও স্পষ্ট আঘাতের কোন ধরণের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, কথিত স্বামী পরিচয় দিয়ে হোটেল কক্ষে উঠা ব্যক্তি ওই নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে থাকতে পারে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। হোটেল কর্তৃপক্ষের বরাতে আতিকুল বলেন, ” স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হোটেল কক্ষ ভাড়া নেওয়া ওই নারী ও পুরুষের নাম -পরিচয় কর্তৃপক্ষ নিবন্ধন খাতায় লিপিবদ্ধ করেনি। এছাড়া হোটেলটিতে কোন ধরণের সিসি ক্যামেরাও নেই।
হোটেলটির ব্যবস্থাপক আব্দুল আলীম বলেন, বৃহস্পতিবার ভোর রাতে ৩ টায় দম্পতি পরিচয়ে ওই নারী জনৈক পুরুষকে সঙ্গে নিয়ে হোটেল কক্ষ ভাড়া নেন। রাত হয়ে যাওয়ায় হোটেলের নিবন্ধন খাতায় তাদের নাম ও পরিচয় নথিভূক্ত করা হয়নি।
তিনি বলেন, ” ভোরে আমি ফজরের নামাজ পড়তে বের হই। ফিরে এসে দেখি তাদের কক্ষের দরজা বাইর থেকে তালা খোলা। পরে দরজা খুলে নারীকে হাত মোড়ানো অবস্থায় খাটে শোয়া দেখা গেলেও স্বামী পরিচয় দেওয়া লোককে পাওয়া যায়নি।
পরে ঘটনার ব্যাপারে পুলিশকে অবহিত করা হয় বলে জানান হোটেলটির এ ব্যবস্থাপক।এসআই আতিকুল জানান, আলামত সংগ্রহের পাশাপাশি হত্যার কারণ জানতে পুলিশে বিশেষজ্ঞ ইউনিটের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। সিআইডির একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করা হবে। এরপর নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হবে বলে জানান তিনি।
পাঠকের মতামত: