নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: মহেশখালী-বদরখালী চ্যানেলের সেতুর তলদেশ থেকে স্যালো মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে একটি প্রভাবশালী মহল। এতে হুমকির মুখে পড়েছে মহেশখালী-বদরখালী সেতু ও বেড়িবাঁধ। পাশাপাশি অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে সরকারও রাজস্ব হারাচ্ছে।
বিভিন্ন সূত্রমতে, কয়েকমাস যাবত নদীর নিচ থেকে উত্তোলনকৃত বালু চকরিয়া উপজেলার কয়েকটি জলাশয় ভরাট কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বদরখালীর পার্শ্ববর্তী এক জনপ্রতিনিধির নেতৃত্বে প্রভাবশালী মহলের যোগসাজসে একটি চক্র অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। এ অবস্থার কারণে হুমকির মুখে পড়েছে মহেশখালী-বদরখালী বেড়িবাঁধ। স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, সাগরের নিচ থেকে বালু উত্তোলনে জড়িতরা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তাদের বাধা দেয়ার সাহস করছে না। পাশাপাশি স্থানীয় ঘের মালিকরা নিষেধ করলেও তারা তা না মেনে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছেন। এতে ব্যাপক গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় বেঁড়িবাধের পাশাপাশি হুমকির মুখে পড়েছে স্থানীয় ঘেরগুলো।
সরকারি সূত্রমতে, ২০১০ সালে বালু উত্তোলন নীতিমালায় যন্ত্রচালিত মেশিন দ্বারা ড্রেজিং পদ্ধতিতে নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ। এছাড়াও সেতু, কালভার্ট, রেললাইন ও মূল্যবান স্থাপনার এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন করা বেআইনি। অথচ এক্ষেত্রে বালুদস্যুরা সরকারি আইন অমান্য করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে।
এ বিষয়ে কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু কুমার চাকমা বলেন, নদীর তলদেশ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে কারো অধিকার নেই। বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ শামসুল তাবরীজ জানান, বিষয়টির খোঁজ নিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পাঠকের মতামত: