গত রবিবার(২৯ সেপ্টেম্বর) হারবাং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে সাড়ে ১১টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, একজন মেডিকেল অফিসার,একজন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, একজন অফিস সহায়ক নির্ধারিত থাকলেও অফিস সহকারী ছাড়া হাসপাতালে কেউ নাই। অফিস সহকারীর টেবিলের উপর পড়ে থাকা দৈনিক হাজিরা খাতা খোলে দেখলে সেখানে প্রায় দুই মাস ধরে ডা: সুজন ত্রিপুরা অনুপস্থিত। অন্যদিকে অসংখ্য রোগী সেবা না পেয়ে দীর্ঘক্ষণ দাড়ি আছে,এবং কেউ কেউ হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছে।
সেবা নিতে আসা রোগীরা সাংবাদিকদের দেখা মাত্র হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়ম ও অসংগতির কথা জানান । সেবা নিতে আসা শিখা নামের এজকন গর্ভবতী মহিলা বলেন, আমি টানা চারদিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসলাম, কিন্তু কোনো ডাক্তার না থাকায় প্রতিদিন ফেরত যেতে হচ্ছে।
আরেজন জ্বর ও চুলকানির চিকিৎসা নিতে মহিলা বলেন, এমনিতে ডাক্তার থাকে না, তারমধ্যে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার তানিমুল হাসান মাঝে মধ্যে আসলেও তিনি আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করে। রোগীদের গালি-গালাজ করে, এবং বাচ্চা রোগী দেখলে খারাপ মেজাজ দেখায়।
স্থানীয় বিশিষ্টজনেরা জানান, হারবাং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে নিয়মিত নরমাল ডেলিভারি সেবা চালু, নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসকরা নিয়মিত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হবে। চিকিৎসকরা এখানে নিয়োগ দেখিয়ে বেতন-ভাতা নিবে,কিন্তু সেবা দিবে না তা হতে দেবো না।
খারাপ আচরণের অভিযোগের ব্যাপারে তানিমুল হাসান বলেন,আমি কোনো রোগীকে কখনো গালাগালি করিনি, করবোও না। হারবাং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা: সুজন ত্রিপুরা বলেন, আমার ডিউটি সাপ্তাহে দুইদিন,সেই নির্ধারিত দিনে অফিসে থাকি, আবার হাজিরা খাতায় সাক্ষর নাই কেন প্রশ্ন করলে বলেন, একবার বলেন কোনো ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে মেডিকেল অফিসার যায় না। আবার বলেন হাজিরা খাতা তানিমের অফিসে থাকায় সাক্ষর করতে পারি না।
চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: শোভন দত্ত বলেন, বিষয়টি খবর নিয়ে দেখবো, তিনি যদি ডিউটি না করে থাকেন তাহলে উক্ত দিন গুলো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কাজ ডিউটি করিয়ে নেয়া হবে।
পাঠকের মতামত: