ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

 ‘স্বাস্থ্যকর শহর’ হবে কক্সবাজার -মেয়র মুজিবুর রহমান

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ::   জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা-জাইকা’র সহযোগিতায় এবার কক্সবাজারকে ‘স্বাস্থ্যকর শহর’ অর্থাৎ ‘হেলদি সিটি’ হিসেবে রূপান্তরের ঘোষনা দিয়েছেন মেয়র মুজিবুর রহমান। এ ঘোষনায় একমত পোষন করে মেয়রকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ^াসও দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা: এএইচ এম এনায়েত হোসেন। যদিও ‘পর্যটন নগরী’র তকমা নিয়ে বহু আগে থেকেই বিশ^ দরবারে মাথা উচুঁ করে রয়েছে পৃথিবীর দীর্ঘ সৈকতের স্বত্বাধিকারী কক্সবাজার।

রোববার বিকেলে কলাতলীর সী-গাল হোটেলের বলরুমে “জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা-জাইকা” আয়োজিত “লান্সিং অব হেলদি সিটি ইন কক্সবাজার” শীর্ষক এক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে নগর পিতা এই ঘোষনা দেন।

সেমিনারের প্রধান অতিথি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা: এএইচ এম এনায়েত হোসেন কক্সবাজার পৌরসভার সাম্প্রতিক সার্বিক কর্মকান্ডের প্রশংসা করে বলেন, “আজ সকালে ঢাকা থেকে কক্সবাজার এসে পত্রিকায় দেখলাম-আমরা যে হেলদি শহরের পরিকল্পনা নেয়ার আগেই মেয়র সাহেব বর্ণাঢ্য আয়োজনে জনসচেতনতামুলক আনুষ্ঠানিক পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করেছেন। নি:স্বন্দেহে এটি পর্যটন নগরীকে দ্রুত হেলদি শহরে রূপান্তরের অন্যতম সিঁড়ি হিসেবে কাজ করবে। এ জন্য নগর পিতাকে আমাদের সকলের ধন্যবাদ দেয়া উচিৎ। আমি মনে করি-তিনি চাইলে এ কক্সবাজার পুরোপুরিই বদলে যাবে।”

প্রধান অতিথি মনে করেন, জাইকা এবং পৌরসভা যৌথভাবে আন্তরিক হয়ে কাজ করলে অল্প সময়ের মধ্যে কক্সবাজার হেলদি শহরের খাতায় নাম লিখাতে সক্ষম হবে। সে ক্ষেত্রে সরকারীভাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর ডা: নুর মোহাম্মদ, কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা: মোহাম্মদ আবদুল মতিন, জাইকা’র স্বাস্থ্য প্রকল্পের প্রধান উপদেষ্টা উইকি উইসুমোরা।

এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা: আবদুল আলীম, জাইকা’র সিনিয়র পাবলিক হেলথ এস্কপাট ডা: মো: আবদুর রাজ্জাকুল আলম, ম্যাটারন্যাল হেলথ এস্কপাট রি এ ওজাকি ও জাইকা’র স্বাস্থ্য প্রকল্পের জেলা সমন্বয়কারী মো: মহিদুল ইসলাম, পৌরসভার প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলর, জনপ্রতিনিধি, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-প্রতিনিধিবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

পরে সেমিনারে অংশগ্রহনকারীরা র‌্যালী সহকারে সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে গিয়ে বিশেষ ব্যায়াম অনুশীলনে মিলিত হন।

পাঠকের মতামত: