মোয়াজ্জেম হোসাইন সাকিল :: লবণ একমাত্র বিকল্পহীন খাদ্য উপাদান। আর বাংলাদেশ একমাত্র স্বনির্ভর এই লবণে। দেশের চাহিদারও বেশি লবণ উৎপাদন হয় বাংলাদেশে। তাই লবণ আমদানী করতে হয়না বিদেশ থেকে। ফলে লবণের দাম খুব বেশি বাড়েনা এই দেশে। লবণ ছাড়া অন্য সবকিছুরই দাম ঊর্ধ্বমুখী বাংলাদেশে।
একমাত্র কক্সবাজারে আর চট্টগ্রামের বাঁশখালীর মতো কিছু অংশে লবণ চাষ হয়। এটা ভূ-প্রাকৃতিক কারণে। লবণ চাষের ইউনিক এসব জমি ভিন্ন কোন কাজের ব্যবহার করার অজুহাত দেখিয়ে লবণ চাষ বন্ধ করে দেয়া হবে বাংলাদেশকে সম্পূর্ণরূপে পরনির্ভরশীল করে ফেলার অপচেষ্টা মাত্র।
তখন লবণের জন্যও বাংলাদেশকে পরনির্ভরশীল হয়ে যেতে হবে। অন্তত একটি খাদ্য উপাদানে যে আমরা স্বনির্ভর জাতি; সেই স্বনির্ভরতা হারিয়ে ফেলব। তখন লবণ আমদানী করতে হবে বিদেশ থেকে। প্রতি মুহুর্তেই লবণের দাম বেড়েই চলবে। অনেক দেশীয় অর্থ চলে যাবে বিদেশে।
বাংলাদেশের মোট চাহিদারও বেশি লবণ কক্সবাজারে উৎপাদন হওয়ার পরও একটি চক্র সবসময়ই লবণ আমদানীর অপচেষ্টা করে আসছে যুগ যুগ ধরে। অনেক সময়ই তারা সফল হয়। আর মুক্তবাজার অর্থনীতির নেতিবাচক ছোবল দিয়েও লবণে স্বনির্ভর বাংলাদেশকে পরনির্ভরশীল করার পায়তারা দেখি মাঝে মাঝে।
এবার লবণ শিল্পের কফিনে শেষ পেরেকটি বোধহয় মারা হচ্ছে। এসব বিষয়ে বুঝার মতো এখানে যথেষ্ট যোগ্য নেতৃত্বের অভাব রয়েছে বলে মনে হয় মাঝে মাঝে। কিন্তু পরক্ষণে বিষয়টি বুঝেও না বুঝার ভান করে থাকার লাভটা দেখে আতঁকে উঠি। এসব বিষয় দেখার দায়িত্বে যারা রয়েছেন তাদের ব্যক্তিগত ক্ষুদ্র স্বার্থের জন্য দেশের যেকোন ক্ষতি করে যাচ্ছেন।
উপরোক্ত বিষয়গুলো নিয়ে বিগত কয়েক বছর ধরে লিখতে চাইলেও নিজের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে লিখিনি। কিন্তু দেশপ্রেমের জায়গা থেকে নিজের দায়িত্ববোধকে শেষ পর্যন্ত এড়াতে না পেরে আজকে সামান্য কিছু বিষয় বেশ কৌশলী হয়েই তুলে ধরলাম।
লবণে আমরা স্বনির্ভর, স্বাধীন। কেনো এই স্বাধীনতা হারাতে যাবো!
যা কিছু করার জন্য লবণ চাষের জমি ব্যবহার করা হচ্ছে, তা করার জন্য দেশে অবশ্যই বিকল্প জায়গা রয়েছে। কিন্তু লবণ চাষের জন্য দেশে কোন বিকল্প জায়গা নেই। সেই বিষয়টা গুরুত্বের সাথেই বুঝতে হবে।
এছাড়া আরো একটি বিষয় আমাদের বুঝা উচিত, সেটা হচ্ছে খাবার টেবিলে হয়তো কোন একটি আইটেম কিংবা উপাদান কম হলেও চালিয়ে নিয়ে যেতে পারি। কিন্তু লবণ যদি না দিই কোন আইটেমই খেতে পারবো না।
আমদানী বন্ধ, সিন্ডিকেট, গুদামজাত ইত্যাদি কারণে যদি লবণ সংকটে পড়ি ভেবে দেখুন কি পরিণতি হবে।
ছোটবেলায় একটি গল্পও পড়েছিলাম “নুনের মতো ভালোবাসা” শিরোনামে। ওই গল্পের কাহিনীর সাথে সুর মিলিয়ে বলতে চাই, আসুন দেশটাকে ভালোবাসি, নুনের মতো ভালোবাসি।
যারা বিভিন্ন সময়ে দেশকে ভালোবেসে গবেষণা করেছেন, সচেতনতা সৃষ্টি করেছেন; তারা এগিয়ে আসুন এই স্বাধীনতা ধরে রাখতে।
লেখক: মোয়াজ্জেম হোসাইন সাকিল একজন গণমাধ্যম ও তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী।
প্রকাশ:
২০১৯-০১-১২ ০৯:৩৩:২৬
আপডেট:২০১৯-০১-১২ ১৩:৩০:৪৪
- পেকুয়ায় নিখোঁজ স্কুল শিক্ষকের সন্ধান মেলেনি
- চকরিয়ায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করতে হবে -জামায়াত
- পেকুয়ায় ট্রাক চাপায় মুদি দোকানী নিহত
- খুটাখালীতে সকড় সংস্কারের পূর্বেই ইটগুলো গায়েব নীরব
- তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে গুজব প্রতিরোধ সম্ভব” –ইউএনও চকরিয়া
- চকরিয়ায় সেনা কর্মকর্তা হত্যা: মূল হোতা নাছির উদ্দিন ও সহযোগী ডাকাত এনাম গ্রেফতার
- এডভোকেট মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান এর ২৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ ক্রোড়পত্র
- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের সাথে চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ শিক্ষকদের মতবিনিময়
- নিপীড়িত গরীব দুঃখী মেহনতি মানুষের মুক্তির জন্য জামায়াত কর্মীদের বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে -আবদুল্লাহ আল ফারুক
- ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ওয়াসিমের পরিবারের সাথে সাক্ষাতে সালাউদ্দিন আহমদ
- চকরিয়ায় সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তানজিম সরোয়ার খুনের ঘটনায় দুইটি মামলা
- ডুলহাজারায় সেনা কর্মকর্তা তানজিম হত্যার বিচার চেয়ে বিক্ষোভ
- লেফটেন্যান্ট তানজিম হত্যার ৬ সন্ত্রাসীকে আটক করেন সেনাবাহিনী
- চকরিয়ায় ডাকাতের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হলেন তরুণ সেনা কর্মকর্তা তানজিন
- চকরিয়ার যুবলীগ নেতা কছিরের রয়েছে সম্পদের পাহাড়
- ফাইতং ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবীতে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
- সেনা কর্মকর্তা তানজিম হত্যা ও ডাকাতি,খুন,গুমের প্রতিবাদে খুটাখালী বহলতলীবাসী
- চকরিয়ায় ৪৬টি পূজা মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনের প্রস্তুতি
- চকরিয়ায় আ,লীগের প্রভাবে দখল হওয়া বাজার ফিরে পেতে চায় ব্যবসায়ীরা
- চকরিয়ায় ডাকাতের গুলিতে লেফটেন্যান্ট তানজিম খুন, মায়ের আহাজারী, শোকের মাতম, জানাযা সম্পন্ন
- ডুলাহাজারার সংরক্ষিত বনে ডাকাতের আস্তানা, সন্ধ্যার পর শুরু হয় লুটতরাজ
- ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ওয়াসিমের পরিবারের সাথে সাক্ষাতে সালাউদ্দিন আহমদ
পাঠকের মতামত: