কক্সবাজার প্রতিনিধি :::
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সড়কের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজার বিমান বন্দর থেকে মেরিন ড্রাইভ সড়ক হয়ে ইনানী পৌছেন। এরপর বেলা সাড়ে ১১টায় ইনানীর ২৮ কিলোমিটার পয়েন্টে ফলক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ওখানে সেনা বাহিনী আয়োজিত এক সুধি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী।
এসময় সেনাবাহিনীর প্রধান আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, নৌ-বাহিনীর প্রধান এডমিরাল নিজাম উদ্দিন মোহাম্মদ, বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চীফ মার্সাল আবু এসরার সহ সামরিক, বেসামরিক কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শনিবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী ৭৩৭-৮০০ বোয়িং বিমান মেঘদূতে করে ঢাকা থেকে কক্সবাজারে আসেন। এরপর বিমান থেকে নেমেই কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারিত রানওয়েতে সুপরিসর ৭৩৭-৮০০ বোয়িং বিমান চলাচল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী রাশেদ খান মেননসহ মন্ত্রীপরিষদ সদস্য ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে প্রকল্পবাস্তবায়নকারি সেনা বাহিনীর ১৬ ইসিবি’র অধিনায়ক লে. কর্ণেল কে এম মেহেদী হাসান জানান, এ সড়কের কারণে বিশ্ব দরবারে কক্সবাজার একটি সমৃদ্ধশালী পর্যটন শিল্প হিসেবে প্রকাশ পাবে। এ সড়কে ১৭ টি ব্রীজ, ১০৮ টি কালর্ভাট রয়েছে। যেখানে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৫০ কোটি টাকার কাছাকাছি।
এরপর আজ বিকালে কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত এক জনসভায় অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি কক্সবাজারের আরো ৫টি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ৮ টি ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা দু’ মেয়াদে কক্সবাজারে দেড় লাখ কোটি টাকা উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। এসব প্রকল্পের মধ্যে মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে মেগা প্রকল্প।
এছাড়াও কক্সবাজার বিমানবন্দর সম্প্রসারণ, মহেশখালী এলএনজি টার্মিনাল, মেডিকেল কলেজ, নাফ ট্যুরিজম পার্ক প্রকল্পও বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ প্রকল্প। এসব প্রকল্পের অর্ধেক বাস্তবায়ন হয়েছে। অবশিষ্ট গুলো বাস্তবায়নের পথে। সব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে একটি স্বপ্নের কক্সবাজারকে দেখতে পাবে বাংলাদেশ।
পাঠকের মতামত: