বিনোদন ডেস্ক :
নিষেধাজ্ঞার দেয়াল ভাঙলো দীর্ঘ ৩৫ বছর পর। সৌদি আরবে আবারও চালু হয়েছে সিনেমা হল। হলিউডের ব্ল্যাক প্যান্থার ছবিটি দিয়ে ২১ এপ্রিল রিয়াদ শহরে সিনেমা হলের যাত্রা শুরু হলো। সেখানে দেখা গেছে দর্শকের উপচে পড়া ভিড়।
সৌদিতে সিনেমা হল চালু হওয়ার বিষয়টি আলোচিত সারা বিশ্বেই। দেশটি নতুন এক সাংস্কৃতিক যুগের পথে যাত্রা করেছে সিনেমা হল চালুর মধ্য দিয়ে এমনটাই ভাবছেন বিশ্ব সংস্কৃতিকর্মীরা। তবে এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই ধর্মীয় রীতিনীতি পালনের সঙ্গে সিনেমাকে সাংঘর্ষিক বলেও সমালোচনা করছেন।
তাদের এ ধারণা বদলে দিতে বেশকিছু পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে প্রেক্ষাগৃহের মালিকপক্ষ। হলিউড রিপোর্টারের এক সংবাদে জানা যাচ্ছে, সিনেমা চলাকালীন প্রার্থনার সময় হলে দর্শক প্রার্থনা করতে পারবেন। তাদের জন্য আলাদা প্রার্থনা কক্ষের ব্যবস্থা থাকবে।
জানা গেছে, আসন্ন রমজান মাসকে কেন্দ্র করেই এই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কারণ, মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাস আসন্ন রমজান। সেই দিকটি বিবেচনা করেই নামাজের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব থিয়েটার ওনার্সের প্রেসিডেন্ট জন ফিথিয়ান। গেল মঙ্গলবার সিনেমাকনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ফিথিয়ান।
ফিথিয়ান বলেছেন, ‘এখন থেকে নতুন যেসব প্রেক্ষাগৃহ নির্মাণ করা হবে, তার প্রতিটিতে অবশ্যই প্রার্থনার জন্য নির্ধারিত কক্ষ তৈরি করা হবে। এএমসির বর্তমান ঠিকানা, যা পারফর্মিং আর্টের জন্য প্রসিদ্ধ, সেখানে আগে থেকেই প্রার্থনালয় আছে।’
প্রসঙ্গত, সৌদি আরবের নাগরিকরা সর্বশেষ ১৯৭০ সালে সিনেমা দেখেছিলেন। তখন দেশটির কট্টরপন্থী ধর্মীয় নেতাদের চাপে সিনেমা হলগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। সৌদির নতুন রাজপুত্র আবার সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে দিয়ে সৌদি নাগরিকদের জন্য সিনেমা হলে সিনেমা দেখার সুযোগ করে দিলেন।
সৌদি আরবের প্রধান আর্থিক তহবিল পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড চলচ্চিত্র প্রদর্শনের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় সিনেমা হল চেইন আমেরিকান মুভি ক্ল্যাসিক বা এএমসির সঙ্গে চুক্তি সই করেছে। চুক্তি অনুযায়ী, আগামী পাঁচ বছরে সৌদি আরবের ১৫টি শহরে ৪০টি সিনেমা হল নির্মাণ করবে এএমসি। এর পরের সাত বছরে ২৫টি শহরে ৫০ থেকে ১০০টি সিনেমা হল নির্মাণ করা হবে।
পাঠকের মতামত: