কক্সবাজার প্রতিনিধি ::
সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় এসেছে পর্যটন শহর কক্সবাজার। শহরের গুরুত্বপূর্ণ ও অপরাধ প্রবণ স্থানগুলোকে সিসি ক্যামেরার নজরদারিতে আনা হয়েছে। এ জন্য কক্সবাজার জেলা পুলিশ ব্যবহার করছে আধুনিক প্রযুক্তি।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, সিসি ক্যামেরা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে প্রশিক্ষিত জনবলের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
আর দেশি-বিদেশি পর্যটকের পাশাপাশি পুরো শহর নিরাপত্তার আওতায় আসবে বলে আশা পুলিশের।
পর্যটন শহর কক্সবাজারের প্রাণকেন্দ্র কলাতলীর ডনফিন মোড়। এখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসা পর্যটকদের প্রতিদিন গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়া হয়। তাই পর্যটকদের নিরাপত্তা ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করেছে জেলা পুলিশ।
শুধু কলাতলীর ডনফিন মোড়ই নয়, সৈকত শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। স্থাপন করা হয়েছে প্যানেল মনিটর সুবিধাযুক্ত সিসি ক্যামেরার কন্ট্রোল রুমও।পুলিশের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ড. ইকবাল হোসেন জানালেন, অপরাধ দমনে সিসি ক্যামেরার আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পুরো শহরকে নিরাপত্তার আওতায় আনা হচ্ছে। অপরাধীদের শনাক্ত করতে ব্যবহার করা হচ্ছে উন্নতমানের ক্যামেরা।
তিনি বলেন, ‘কোন অপরাধী বা ছিনতাইকারীর হাতে ট্যুরিস্ট কিংবা স্থানীয় কেউ যাতে অসুবিধায় না পড়ে সেজন্যই কিন্তু আমাদের এই বৃহৎ পরিকল্পনা হাতে নেয়া।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, সিসি ক্যামেরা নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে যেসব প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে তাতে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ আরো সহজ হবে। তবে এসব প্রযুক্তি ব্যবহারের দক্ষ জনবল ও ধারাবাহিকতা প্রয়োজন রয়েছে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব:) ফোরকান আহমেদ বলেন, ‘কেউ যদি অপরাধ করে পার পেয়ে যায় তাহলে সেটা এই সিসিটিভির মাধ্যমে পুলিশ সনাক্ত করতে সক্ষম হবে।’
জেলা পুলিশের দেয়া তথ্য মতে, প্রাথমিকভাবে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে শহরের ৪০টি পয়েন্টে লাগানো হয়েছে ৫২টি সিসিটিভি ক্যামেরা। আগামী ৩ মাসের মধ্যে আরও লাগানো হবে একশোটিরও বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা।
পাঠকের মতামত: