ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী

সাংসদের ভাতিজা মেয়র প্রার্থী হওয়ায় বেকায়দায় নেতাকর্মীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: দলীয় কোনো পদ-পদবী না থাকার পরও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হওয়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর জিয়াবুল হককে নিয়ে অনেকটা বেকায়দায় পড়েছে স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ এখনো দলীয় প্রার্থী চুড়ান্ত করতে না পারায় দুশ্চিন্তায় রয়েছে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের সমর্থকরা। তবে শেষ মুহুর্তে মেয়র পদ কে পাচ্ছেন নৌকা প্রতীক এ নিয়ে কানাঘুষা চলছে ভোটারদের মাঝে।

১১ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াবুল হক মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। মেয়র প্রার্থী জিয়াবুল হক স্থানীয় সাংসদ জাফর আলমের আপন বড় ভাই আবুল কালামের পুত্র।

ওইদিন সাংসদ জাফর আলমের আরও আপন তিন ভাই চিরিঙ্গা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাসেম, আবুল কাসেম ও আবুল কালাম মেয়র প্রার্থী জিয়াবুল হকের পক্ষে উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। মূলত জিয়াবুল স্থানীয় সাংসদের ভাতিজা হওয়ায় অনেকে মুখ খুলছে নারাজ।

তিনি স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হিসেবে মাঠে ময়দানে থাকলেও কৌশলগত কারণে দল থেকে মনোনয়ন চাননি। তবে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ প্রার্থী চুড়ান্তভাবে ঘোষণা দিলে ধোঁয়াশা কাটবে বলে মনে করেন নেতাকর্মীরা। এরমধ্যে সাংসদ জাফর আলমের নেতৃত্বে মেয়র প্রার্থীর তালিকা চুড়ান্ত করেছেন উপজেলা আওয়ামীলীগ। সর্বশেষ কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগ ৬ জনের নাম কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ বরাবর প্রস্তাব করেন।

এদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা না করলেও চকরিয়া পৌরসভা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র নুরুল ইসলাম হায়দার বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।

একাধিক সূত্র জানায়, আগামী ১৪ মার্চ মেয়র প্রার্থীর নাম ঘোষণা করবে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ। মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে নির্বাচন কমিশনকে চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দিয়ে নিশ্চিত করবে। বাকিরা বাদ পড়বে এমনি আশা করছে দলীয় সকল নেতা-কর্মীরা।

স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র ইস্যুটি দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে। এ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঠেকানোর সঠিক কোনও পথ এখন পর্যন্ত বের করতে পারেনি দলটি। আবার মেয়র প্রার্থীর চেয়েও পৌর নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে বিদ্রোহী প্রার্থীদের ছড়াছড়ি হবে বলে আশঙ্কা করছেন নেতারা।

প্রত্যেক ওয়ার্ডে দলের ৫-৬ কাউন্সিলর প্রার্থী মাঠে রয়েছে। কেউ কারও কথা শুনছে না। ইতোমধ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে গণসংযোগ ও মতবিনিময় সভাও চালিয়ে যাচ্ছেন সবাই। দল থেকে ওয়ার্ড পর্যায়ে একক প্রার্থী হিসেবে কাউন্সিলর প্রার্থীর নাম ঘোষণা করার কথা রয়েছে। ‘এক্ষেত্রে ভুল প্রার্থী বাছাইয়ের সুযোগ নেবে বিদ্রোহীরা।

পাঠকের মতামত: