দৈনিক কক্সবাজার ও বাংলিনিউজের স্টাফ রিপোর্টার তুষার তুহিনকে কোনো পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেপ্তার করে আদালতে চালান করেছে কক্সবাজার সদর থানা পুলিশ। তবে কোনো মামলা না থাকায় আদালত পুলিশ তুষার তুহিনকে ছেড়ে দিয়েছে। সাংবাদিক তুষার তুহিনকে উদ্দেশ্যমূলক গ্রেপ্তার করে বিনা কারণে আদালতে প্রেরণে কক্সবাজারে শহর জুড়ে তীব্র সমালোচনা হচ্ছে। সর্বত্র নিন্দার ঝড় উঠেছে।
তুষার তুহিন জানান, আজ রোববার সকাল সাড়ে এগারটায় সাদা পোশাকে এএসআই মুজিব তার বাসা থেকে ওসি সাহেব ডাকছে বলে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে । একটি মামলার পরোয়ানা দেখিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তুষার তুহিন জানিয়েছেন, ঐ মামলায় তাকে খালাশ দেয়ার আদালতের আদেশের কপি দেখালে এএসআই মুজিবুল আদালতের আদেশের কপিটি ছিড়ে ফেলে। এই সময় ওই পুলিশ অফিসার মুজিব তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে। গ্রেপ্তার করে থানায় আনার ১০ মিনিটের ভেতর তাকে আদালতে চালান দেয়া হয়। পরে সাংবাদিক নেতারা তার খালাশের কপি আদালত পুলিশকে দেখালে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
জানা গেছে, কক্সবাজার সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মানস বড়–য়ার বিরুদ্ধে এক নারীকে নির্মম নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের নামে ওই নারীকে গোপনাঙ্গে বৈদ্যুতিক শক দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এই ঘটনাটি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনকে কেন্দ্র করে শনিবার রাতে তুষার তুহিন মানস বড়ুয়ার কাছে অভিযোগের ব্যাপারে বক্তব্য জানতে চায়। এ কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে মানস বড়ুয়া। এই বিষয়টি নিয়ে তুষার তুহিনকে হয়রানির ক্ষেত্রে মানস বড়ুয়ার ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহেদ সরওয়ার সোহেল জানিয়েছেন, তুষার তুহিন কোন মামলার আসামি নয়। তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরন করা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক। সাদা পোশাকে অভিযান বা গ্রেপ্তার করে এএসআই মুজিব উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করেছেন। তিনি তুষার তুহিনকে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে গ্রেপ্তারের ঘটনায় তিব্র প্রতিবাদ ও এ এস আই মুজিবের শাস্তি দাবি করেন।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, তুষার তুহিনেরর বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের একটি মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিলো। তবে তিনি ওই মামলায় খালাশ পেয়েছেন তার তথ্য পুলিশের কেছে ছিলো না। তুহিনকে গ্রেপ্তারের ঘটনাটি অনাকাঙ্খিত। এই ঘটনার জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। এএসআই মুজিবের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেয়া হবে। সিবিএন
পাঠকের মতামত: