ঢাকা,রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

শাপলাপুর জেমঘাটে বাড়ী ভাংচুর: শিক্ষিকা নাজেহাল: এলাকায় উত্তেজনা

ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি ::

সাগর ও নদী ঘেরা মহেশখালী উপজেলার পাহাড় এবং নদীর পাদ দেশে অবস্থিত শাপলাপুর ইউনিয়নের জেমঘাট এলাকার স্বনামধন্য পরিবার ফজল কাদেরের কন্যা স্কুল শিক্ষিকা দিলরুবা তাসরীন নিলু কে নাজাহাল করেছে একদল পুলিশ। এছাড়া এই পুলিশ দল চড়াও হয়ে একই গ্রামের ইউচুফ নবীর বাড়ী-ঘরে হামলা চালিয়ে রান্নার চুলা ভেঙ্গে দিয়ে খাবার সামগ্রী ফেলে দিয়েছে। এ সময় বাড়ীর গৃহ বধু তসলীমা ও উম্মে কুলছুমকে মার-ধর করার ঘটনা ঘটেছে। এ নেক্কার জনক ঘটনাটি ঘটেছে ২১ মার্চ সকাল ৮ টায়।

শাপলাপুর ইউনিয়নের জেমঘাট গ্রামের ভূক্তভোগী ইউছুফ নবী জানান, জেমঘাট এলাকায় আমার খাল চাষের জমি রয়েছে। উক্ত জমি থেকে আমি একই গ্রামের স্বনামধন্য পরিবার ফজল কাদেরের কন্যা স্কুল শিক্ষিকা দিলরুবা তাসরীন নিলু কে ২১২০নং দলিল মূলে ২৮ শতক জমি বিক্রি করি। এছাড়া শাহাব উদ্দিনের কাছ থেকে নিলু ১০শতক জমি বন্ধক নেন। অপর দিকে নিলু মা শাকেরা বেগম অপর জমির মালিক মোহাম্মদ বক্সু থেকে ২৩শতক জমি বন্ধক নেন। এসব জমি একই খতিয়ান, একই দাগ, একই কবলার আওতাধীন ২একর জমি হয়। উক্ত জমি একই স্থানে। তবে জমিনের কয়েক জন মালিক চায়না গ্যাস কোম্পানী কাছে আমার জমি সহ অর্থাৎ নিলু কাছে বিক্রি করা জমি এবং নিলুর মায়ের বন্ধকী নেয়া জমি সহ আগামী ৫ বছরের জন্য মোটা টাকা ধার্যের মাধ্যমে ভাড়া দেয়, জনৈক রুহুল আমিন গং। গ্যাস কোম্পানী নিলু ও নিলুর মা শাকেরা বেগমের সাথে কোন ধরণে চুক্তি না করে ২১ মার্চ ভোরে উক্ত জমি ভরাট করার জন্য এস্কেবেটার নিলে জমির মালিক নিলু ও শাকেরা বেগম গ্যাস কোম্পানীকে বাধা দেয়। এতে সকাল ৮টায় কালামারছড়ার পুলিশ ফাঁড়ির এস.এই ওয়াহিদ একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্রেতা সূত্রের মালিক স্কুলের শিক্ষিকা দিলরুবা তাসরীন নিলু কে অকথ্য ভাষায় গালা-গালি করে দীর্ঘ আধা ঘন্টা পর্যন্ত আটক করে রাখে। পরক্ষণে উক্ত শিক্ষিকাকে ছেড়ে দিয়ে সকাল ৯ টায় আমার বাড়ীতে গিয়ে একই গ্রামের আব্দু ছালাম মেম্বারের ভাইপো জসিম উদ্দিন কে সাথে নিয়ে বাড়ীতে থাকা আমার পুত্র বধু তসলীমা ও উম্মে কুলছুমাকে গালা-গালিসহ মারধর করে। চলে যাওয়ার সময় আমার রান্নার চুলা ভেঙ্গে দিয়ে খাবার সামগ্রী ফেলে দেয়। পুলিশের এ লংকা কান্ড দেখে উপস্থিত সাংবাদিক ও স্থানীয়রা হতবাক হয়েছে। এদিকে এ ঘটনার ব্যাপারে শাপলাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ডাঃ ওসমান থেকে জানতে চাইলে তিনি জানান, গ্যাস কোম্পানী স্থানীয় কতিপয় লোকজন কে সাথে নিয়ে এলাকায় অন্যায় ও অত্যচার করা মোঠেই ঠিক নয়। তিনি আরো জানান, আমি বিষয়টি সাংসদ আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিককে অবহিত করেছি। অপর দিকে একলাকার প্রবীন এক ব্যক্তি জানান, গ্যাস কোম্পানীর লোকজন আব্দু ছালাম মেম্বারের ইশারায় এলাকায় অন্যায় করায় সাবেক ইউপি সদস্য মরহুম গোলাম কুদ্দুছ এর পুত্র আব্দুল গফুর প্রতিবাদ করার কারণে তার বাড়ীতে গত ১০দিন পূর্বে একই পুলিশ দল হামলা চলিয়ে ২ লাখ টাকার মালামাল ভেঙ্গে তচনচ করে ফেলেছে। এঘটনা সত্যতার ব্যাপারে বাড়ী ওয়ালা গফুরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঘটনাটি সত্য। তবে এ বিচার করবে কে? অন্যদিকে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার ওয়াহিদের সাথে যোগাযোগ করা হলে, উপরি মহলের নিদের্শে তিনি এই অভিযান চালিয়েছেন। তিনি আরোও বলেন, উত্তেজনা মূলক পরিস্থিতি থামাতে আমি নিলু কে সামান্য ধমক দিয়েছি। নাজেহাল করা ঘটনাটি সত্য নয়।

পাঠকের মতামত: