কক্সবাজার শহরের বেশ কয়েকটি রোড ও গলি খুবই বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে রাতে লোডশেডিংয়ের সময় ওই সব রাস্তা ও গলিতে পর্যটক ও পথচারীদের সর্বস্ব ছিনিইেয় নেয় ছিনতাইকারীরা। সচেতন মহল বলছেন, পর্যটন শিল্পের স্বার্থে শহর এলাকায় লাইটিং ব্যবস্থা আরো জোরদার করা দরকার বলে মনে করেছেন সচেতন শহরবাসী। জানা গেছে, শহরের এন্ডারসন রোড, কস্তুরাঘাট এলাকা, থানার পিছন রোড, ফায়ার সার্ভিস মসজিদ রোড, গোলদিঘীর পাড়, সদর হাসপাতাল সংলগ্ন সড়ক, কক্সবাজার কেজি ও মডেল হাই স্কুল সড়ক, ফুলবাগ সড়ক, হোটেল নিদমহল সংলগ্ন গলি ও শেখ রাসেল সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে ছিনতাইকারীর উপদ্রব বেড়ে গেছে। আবার এসব ছিনতাইকারীরা সমুদ্র সৈকত এলাকায় সিন্ডিকেট করে পর্যটকদের জীম্মি করে সবকিছু হাতিয়ে নিচ্ছে। এমনকি আগত পর্যটকদের অস্ত্র ও ছুরিকাঘাত করে অনেক প্রানও কেড়ে নিচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও ব্যবসায়ী সুত্র জানায়, সন্ধ্যার পর থেকে এসব সড়ক ও গলিতে ছিনতাইকারী দল বেঁধে কিংবা একা ঘুরাফেরা করে। সুযোগ বুঝে পথচারীদের সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। বিশেষ করে লোডশেডিং চলাকালে এসব স্থানে ছিনতাইকারীরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। এদিকে গত কিছুদিন আগে শহরের ডায়াবেটিক পয়েন্টে বাশঁখালী থেকে আসা ৪ পর্যটককে অস্ত্রের মুখে জীম্মি করে দামী মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে দ্রুত টমটম নিয়ে পালিয়ে যায়। সেখানে মনছুর নামে এক পর্যটক আরো তিন বন্ধুসহ কক্সবাজারে বেড়াতে আসেন। পরে তারা বেড়াতে সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার জন্য ডায়াবেটিস রোড দিয়ে যাচ্ছিলেন। ডায়াবেটিস পয়েন্ট এলাকায় পৌছলে ছিনতাইকারীরা ওই পর্যটকদের কাছ থেকে সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয়। অপরদিকে গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় ইসলামী ব্যাংকের সামনে হাঁটা অবস্থায় জাবের নামে (২৫) নামে এক যুবকের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও নগদ ৩ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। এদিকে পথচারী ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, প্রতিনিয়ত ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেও তা পত্রিকায় আসলেও আইন শৃংখলা বাহিনীর নজরে পড়েনা। এছাড়া আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীও কোন ধরণের নিরাপত্তামূলক ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়না। এব্যাপারে কক্সবাজার মডেল থানা সুত্র বিচ্ছিন্ন কিছু ছিনতাইয়ের ঘটনার কথা স্বীকার করে জানান, শহরের সব সময় টহল পুলিশ নিয়োজিত থাকে। পুলিশ তো নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেই। তবে পথচারীদেরও একটু সচেতন হতে হবে। এদিকে সচেতন মহল মনে করছেন, পর্যটন শিল্পের স্বার্থে শহরে লোডশেডিং না দেয়া এবং লাইটিং ব্যবস্থা জোরদার করা প্রয়োজন। কেননা পথচারীদের পাশাপাশি পর্যটকরা ছিনতাইয়ের শিকার হলে পর্যটন শিল্পে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে। এব্যাপারে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ বলেন, ছিনতাইকারীদের ধরতে পুলিশ সবসময় তৎপর রয়েছে। পাশাপাশি পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে সার্বক্ষনিক টুরিস্ট পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
পাঠকের মতামত: