বিশেষ প্রতিবেদক:
শহর জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অর্ধশতাধিক মাদক ব্যবসায়ী। কোন ভাবেই তাদের দমানো যাচ্ছে না। এলাকা ভিত্তিক এসব ব্যবসায়ী গড়ে তুলেছে মাদকের শক্তিশারী সিন্ডিকেট। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার একাধিক অভিযানের পরও অবাধে চলেছে তাদের মাদকের বাণিজ্য। বর্তমানে শহরে বিভিন্ন স্পটে ইয়াবাসহ মাদকের আগ্রাসন বেড়েই চলছে। ফলে মাদকাসক্ত হয়ে এলাকায় যুব সমাজ প্রতিনিয়ত বিপদগামী হচ্ছে। এতে উদ্বিগ্ন রয়েছেন অভিভাকসহ সচেতন মহল।
অভিযোগ উঠেছে, ইয়াবা কারবারে জড়িত অনেকে অল্প সময়ের মধ্যে সামান্য ক্ষুদ্র ব্যবসা থেকে এখন কোটিপতি বনে গেছে। অনেকেই বনে গেছে বিলাস বহুল বাড়ির মালিক। বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী আটক হলেও বার বার ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে যায় গডফাদাররা। আর আটক হওয়া চুনোপুটিরা আইনের ফাক ফোকর দিয়ে বের হয়ে ফের মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। শহরে বিজিবি ক্যাম্প, সিটি কলেজ, গরু হালদা, রুমালিয়ার ছড়া, তারাবনিয়ারছড়া, পাহাড়তলী, টেকপাড়া, চাউলবাজার, ফুলবাগ সড়ক, পূর্ব মাছ বাজার, পশ্চিম মাছ বাজার, পেশকার পাড়া, কলাতলী, আদর্শ গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় হরদম চলছে মাদক ইয়াবা, গাজা, হিরোইন ও মদ ব্যবসা। একাধিক কৌশলে সিন্ডিকেট সড়ক, নৌ পথে দিয়ে প্রতিদিন ইয়াবা পাচার করে আসছে বলে জানা গেছে।
সুত্র জানিয়েছে, বিজিবি ক্যাম্প থেকে সিটি কলেজ পর্যন্ত মাদক রাজ্যের নেতৃত্ব দিচ্ছে দিদারুল ইসলাম, (প্রকাশ বেন্ডার দিদার), তার সেকেন্ড ইন কমান্ড আমিনুল ইসলাম, জয়নাল, নাজিম উদ্দীন (প্রকাশ চশমা নেজাম), গরু হালদা এলাকায় নেতৃত্ব দিচ্ছে কালো ফাতেনির ছেলে রায়হান উদ্দীন (প্রকাশ ক্রেক রায়াহান), ঈমান হোসাইন, রুবেল, তানভির, ইউনুছ, সোহেল, নাজমুল। রুমালিয়ার ছড়ায় বাদশা (প্রকাশ গুটি বাদশা), সোহাগ, সাইফুল ইসলাম, দিদার, সোয়াইব ও ইমরান প্রতিনিয়ত ইয়াবা ব্যবসা করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনেছে। তারাবনিয়াছড়ায় মাদক ব্যবসার নেতৃত্বে দিচ্ছে, জয়নাল, ডাইল অপু, তার স্ত্রী মিনু আরা মিনু (প্রকাশ ডাইল মিনু আপা), ইউনুছ, সোহেল, ফাতেমা খাতুন, ইমরান, তাহসিন ও জাফর। পাহাড়তলী এলাকায় মাদকের স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলেছে জহির হাজী ছেলে বুলু, (প্রকাশ বেন্ডার বুলু) তার ছোট ভাই দিলু (প্রকাশ গুটি দিলু) সখী, তার স্বামী আজিম, আজিজ, নিকসন, কালো নিশান, মইগ্গাহ নিশান, ইসমত আরা, নুর নাহার বেগম, রেবিয়া খাতুন, জুলেখা বেগম ও মরিয়ম। বইল্লা পাড়া এলাকায় হরদম ইয়াবা ছড়িয়ে দিচ্ছে রফিক, মূসা, বালি, খোকন ও গরু রাসেল। টেকপাড়ায় ইয়াবার বিষ ছড়িয়ে দিচ্ছে বার্মাইয়া আলম (প্রকাশ বেন্ডার আলম), আব্দু সালাম (প্রকাশ বেন্ডার সালাম), জহির উদ্দীন (প্রকাশ বার্মাইয়া জহির), জোনাকি, লাকি, সাহেদ, তার বোন রোকসানা, দেলোয়ার হোসাইন (প্রকাশ বুলু মিস্ত্রি), রোকসারার আত্মীয় নার্গিস, মাদক সম্রাট বাপ্পী, তার ভাই মাদক সম্রাট পাভেল, জাবেদ, মদ ব্যবসায়ী রাজা মিয়া, বাহারু, (প্রকাশ নুরু কসাইর বউ) খদিজা বেগম, ফজল হাজির পুত্র বার্মাইয়া হোসাইন, তার ভাই বার্মাইয়া হাসান, জুলেখা, দিদারুল আলম, জিয়াবুল হক, সেলিনা আক্তার লিলি (প্রকাশ বেন্ডার লিলি), মাছুমা আক্তার (প্রকাশ মাছুনি) ও মিমা রাখাইন। ফুলবাগ সড়ক এলাকায় বর্তমানে বিলাস বহুল বাড়ি করে ইয়াবা পাচার করছে চৌফলদন্ডীর ক্যাবা রাখাইন (প্রকাশ চবা), মংশেপ্রু, রফিকুল ইসলাম, জহির, নোমান, ইমরান, সোহেল, আরিফ, ইকবাল, সুমন, ইলিয়াছ, রাজিয়া, লিলি, সাইমা ও পারভীন। চাউল বাজারে নেতৃত্ব দিচ্ছে মমতাজ বেগম, (প্রকাশ ডাইল মমতাজি) তার স্বামী রুনা আহম্মদ রুনু, তার শালা আহমদ হোসাইন, রুবেল, ইমরান ও সোহাগ। পূর্ব মাছ বাজার এলাকায় নেতৃত্বে দিচ্ছে ছেনুরা মা মাদক সম্রাজ্ঞী লাছেং প্রু (প্রকাশ চশমানী) মাদক সম্রাজ্ঞী মাকিসা রাখাইন, অংচজ রাখাইন, মাদক সম্রাজ্ঞী পিংকি রাখাইন, মৃত বাদইল্যা রাখাইনের কন্যা মাদক সম্রাজ্ঞী আবুতুনী রাখাইন, উমং রাখাইনের কন্যা মাদক সম্রাজ্ঞী উমাচিং রাখাইন, লাকী রাখাইন, মাদক সম্রাট কুতুব সওদাগর, পশ্চিম মাছ বাজারে নেতৃত্ব দিচ্ছে মাদক সম্রাজ্ঞী উশা রাখাইন, মমবাছ রাখাইনের কন্যা মাচলা রাখাইন, ল্যাংগা কালুর কন্যা মাদক সম্রাজ্ঞী সামা রাখাইন, আম্মি রাখাইন, তার স্বী মাথিন রাখাইন, সুইটেং রাখাইনের কন্যা মিশা রাখাইন, জেক রাখাইন, মমবাছিং রাখাইন, বিমা, রাখাইন, নেছারের স্বী মাছেউ রাখাইন, ইকবাল পানের দোকানদার, নিমা রাখাইন, উক্ষি রাখাইন। নুর পাড়ার মাদক সম্রাট জাকিরুল ইসলাম, (প্রকাশ বাবু) পেশকার পাড়ায় নেতৃত্ব দিচ্ছে নুরুল ইসলাম বাদশা (প্রকাশ মদ বাদশা)। এ ব্যাপারে সদর থানা ওসি রণজিত বড়–য়া জানান, শহরে মাদক ব্যবসায়ীদের নতুন তালিকা করা হচ্ছে। অচিরেই তাদের বিরুদ্ধে সাড়াশি অভিযান চালানো হবে। সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না সহজে।
পাঠকের মতামত: