নিজস্ব প্রতিনিধি,চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার মেধাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যান থেকে পাচার যাচ্ছে শতবর্ষী মাদার ট্রি। নিত্য নতুন তৈরি হচ্ছে অবৈধ বসতি। দিনদিন স্থুল হয়ে আসছে দেশের সর্ববৃহৎ এই জাতীয় উদ্যানের পরিধি। বন ভূমি বে-দখের যাহাতে না হয় সে দিকে সরকারের দৃষ্টি থাকলেও বন রক্ষায় নিয়োজিতদের যোগ সাজসে দখল অব্যহত রয়েছে। নাম মাত্র অভিযান চালিয়ে অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে বাহানা নিলে ও বেচা বিক্রি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। যে ভাবে অবৈধ বসতঘর নির্মাণ হচ্ছে এতে কেের এক সময় মেধাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যানের বনভূমি বেদখল দ্বারের হাতে চলে যাবে।
জানা গেছে, কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ফুলছডি রেঞ্জের এক মাত্র মাদার ট্রি গর্জন বাগান (যে খান থেকে বীজ সংগ্রহ করা হয়) উপজেলার খুটাখালী মেধাকচ্ছপিয়া বনবিট। ২০০৪ সালে ৩৯৬ হেক্টর এলাকা নিয়ে বনভূমির শতবর্ষী মাদার ট্রি রক্ষার্থে জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করা হয়। দেশের সর্ব প্রথম ও সর্ববৃহৎ এ উদ্যানটি কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ফুলছড়ী রেঞ্জের মেধাকচ্ছপিয়া বনবিট রক্ষণাবেক্ষণ দায়িত্বে রয়েছে।
সরেজমিনে জানা যায়, এ বিট কার্যালয় নিকটস্থ এলাকা থেকে গত ক’দিন আগে কেটে নিয়ে গেছে শতবর্ষী একটি মাদার ট্রি। খুটাখালী এলাকার চিহ্নিত গাছ চোর চক্র জড়িত থাকার কথা জানতে পেরেও দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। চুরি হওয়া এ মাদার ট্রী এখনো পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে বিট কর্মকর্তা এ গাছের একটি টুকরো উদ্ধার হয়েছে জানালেও তার সত্যতা মিলেনি।
স্থানীয় লোকজন দাবী করেন, কাট পাচারকারী সাথে বিট কর্মকর্তার যোগসুত্র থাকার কারণে পাচার হওয়া মাদারট্রি গজন গাছটি উদ্ধারে এগিয়ে যায়নি। কালের স্বাক্ষী হয়ে হয়ে আছে কাটা এ মাদার ট্রির গোড়া বা মাথা। স্থানীয় লোকজন আরো জানায়, গত এক মাসে আরো ২টি গাছ পাচার হয়েছে।
তারা আরো জানায়, মূল্যবান গাছ পাচারের পাশাপাশি বেশ কিছু মানুষকে ঘর তৈরীর সুয়োগ করে দিয়ের ক্ষেত্রে নিধন করা হয়েছে ২০১৬-১৭ সানের বাগান। বর্তমানে ওই জায়গায বেশ কটি মাটি তৈরি বসতঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।
এ বিষয়টি মেধাকচ্ছপিয়া বিট কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন বাহাদুর কোন প্রকার উচ্ছেদ অভিযান না চালিয়ে মামলা দেয়ার নামে দায় এড়িয়ে যাচ্ছে। এভাবে বন বিভাগের লোকজন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত হয়ে অবৈধ দখলের সুযোগ দিলে এতে করে জাতীয় উদ্যান অচিরেই অবৈধ বসতিতে ভরপুর হয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে মেধাকচ্ছপিয়া বিট কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন বাহাদুর জানান, মেধাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যান এলাকায় অবৈধ নির্মাণাধীন বসতিটির বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। শতবর্ষী মাদার ট্রী কাটার বিষয়টি সত্যতা জানিয়ে তিনি বলেন, স্থানীয় গাছ চোর সিন্ডিকেট এ কাজটি করেছে। গাছের একটি অংশ উদ্ধার হয়েছে। জড়িতদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে ।
এ ব্যপারে ফুলছড়ি ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম জানান, বিষয়গুলো আমার জানা নাই। আমি এখনই খবর নিয়ে দেখছি। কাঠ পাচার কিংবা বসতি তৈরী কারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্থানীয় লোকজন মেধাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যানে শতবষী মাদার ট্রি ও বনসম্পাদ রক্ষাথে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
পাঠকের মতামত: