নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়ায় সুরাজপুর এলাকায় খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে এসে দুই/তিনদিন ধরে অবস্থান করছে একদল বন্যহাতির পাল। আজ রোববার সকালে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সুরাজপুরের ছিরামুরা এলাকায় অবস্থান করা হাতি পাহাড়ের দিকে চলে না যাওয়ায় স্থানীয় এলাকাবাসীর মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। গত দুই দিনে বন্য হাতিকে কিছু উৎশৃঙ্খল জনতা বিরক্ত করার তাদেরকে ধাওয়া করে। এসময় বৃদ্ধাসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। এদিকে হাতি আতংকে এলাকাবাসীকে নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে।
এদিকে এক সাথে ১৮/২০টি হাতি অবস্থান করায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে সুরাজপুরের স্থানীয় বাসিন্দা। এর আগে শুক্রবার ও শনিবার ভোরের দিকে সুরাজপুরের বিভিন্ন এলাকায় বন্যহাতির দল চষে বেড়ালেও শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত ছিরামুরা এলাকায় অবস্থান করছে। সকাল থেকে শতশত উৎসুক জনতা হাতি দেখতে ওই এলাকায় ভিড় করে।
স্থানীয় লোকজন বলেন, সরকারী বনবিভাগের রিজার্ভ বনভূমি ও পাহাড় কেটে বিরাণভূমিতে পরিণত করায় বন্যহাতি খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে এসে পড়েছে। এত সংখ্যক বন্যহাতি একসাথে সাধারণ মানুষ কখনো দেখেনি। বন্যহাতি বাঁচলে পাহাড় বাঁচবে। পাহাড় বাঁচলে মানুষ বাঁচবে। তাই পাহাড় খেকোদের বিরুদ্ধে সোচ্ছার হতে হবে। নিরাপদ আবাসস্থল ও খাদ্য থাকলে হাতি লোকালয়ে আসত না।
সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিমুল হক চকরিয়া নিউজকে বলেন, স্থানীয় লোকজনকে নিরাপদে চলে যাওয়ার জন্যা বলা হয়েছে। হাতির পালকে বিরক্ত না করার জন্য উৎসুক জনতাকে বারণ করা হয়েছে। বনবিভাগের লোকজন বন্যহাতির পালকে পাহাড়ে ফেরার চেষ্টা চালাচ্ছে। আশাকারি রাতেই হাতির পালকে পাহাড়ের ফিরিয়ে নেয়া যাবে।
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকমর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, ১৮টি বন্যহাতিকে বনে ফেরাতে নানা ধরনের কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে। জান-মালের যাতে কোন ক্ষতি না হয় সে ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনকে সাথে নিয়ে বনবিভাগের লোকজন ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে।
পাঠকের মতামত: