মো. সাইফুল ইসলাম খোকন, চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের বাঁশখাইল্যা পাড়া এলাকায় খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে চলে এসেছে দলছুট একটি বন্য হাতিকে তার আপন নিবাসে ফিরিয়ে দিয়েছে বন বিভাগ।
আজ শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে মানুষ ঘুম থেকে উঠে নিজেদের কাজে যাওয়ার আগে নজরে আসে এ হাতিটিকে। মানুষের আনাগোনা দেখে দিকবেদিক ছুটতে থাকে দলচ্যুট হাতিটি। আর পিছু পিছু নারী পুরুষ আর শিশুদের দল। এতে করে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয় মানুষের মাঝে।
দলছুট বন্য হাতি লোকালয়ে নেমে আসার খবর পেয়ে বনবিভাগ, সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ সেখানে ছুটে গিয়ে তারা সম্মিলত ভাবে হাতিটিকে নির্দিষ্ট আবাসস্থলে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য তৎপরতা শুরু করেছে। ওই দিন মগরিবের পরে চকরিয়াস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের সহকারী তত্ত্বাবধায়ক মো. মাজহারুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত এলিফেন্ট রেসপন্স টিম (ইআরটি) সদস্যদের নিয়ে সকাল থেকে অবস্থান করে।
স্থানীয় জনগনের উপস্থিত বেশী থাকার পর দিনভর চেষ্টা করে হাতির গতিপথ দিকে নিয়ে যায়। পরে মগরিবের সময় ওই হাতিকে চুনতি অভয়রণ্যের দিকে ফিরে যেতে সহায়তা করে এ টিম। ঘটনাস্থলে রয়েছেন। হাতিটি লোকালয়ে আসলেও মানুষের জান-মালের কোন ক্ষতি করেনি। তবে মানুষ আতংকে ছিল।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন, বন সংরক্ষক বিভাগের সাবেক উপ প্রধান সাবেক ড, তপন কুমার দে, চট্টগ্রাম চট্টগ্রাম বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা আবু নাসের মো: ইয়াছিন নেওয়াজের, কক্সবাজার বিভাগীয় কর্মকর্তা তহিদুল ইসলাম , চট্টগ্রাম বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সহকারী কর্মকর্তা নূর জাহান, ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মাজাহারুল ইসলাম ও চুনতি অভয়ারণ্য রেঞ্জ কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিটের বিট কর্মকর্তা, কর্মচারী, পুলিশসহ একটি টিম। অবশেষে হাতির কোন ধরণের ক্ষতির সম্মুখিন হতে হয়নি।
সম্মিলিত ভাবে হাতিটিকে নির্দিষ্ট আবাসস্থলে ফিরিয়ে দিলেন, চকরিয়াস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের সহকারী তত্ত্বাবধায়ক মো. মাজহারুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত এলিফেন্ট রেসপন্স টিম (ইআরটি) সদস্যদের সদস্যরা।
পাঠকের মতামত: