ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

লিংকরোড় বিট অফিসের বন কর্মচারী রফিকের বিরুদ্ধে বনেরজমি বিক্রির অভিযোগ

মাহাবুবুর রহমান. কক্সবাজার :: কক্সবাজার শহরের লিংকরোড়ের বন কর্মচারী রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে চলছে পাহাড়কাটার মহোৎসব একই সাথে উর্ধতন কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে বিপুল টাকার বিনিময়ে সরকারি বন বিভাগের জমিতে ঘর তৈরি করে দিচ্ছেন তিনি। এছাড়া পাহাড় কেটে মাটি বিক্রিকারীদের সাথে মাসিক চুক্তির বিনিময়ে বিপুল টাকা আয়করছেন তিনি। এ সময় বেশ কয়েকটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরজমিনে গিয়ে এসব অভিযোগের সত্যতাও পাওয়া গেল। গত দুই দিন ধরে শহরের লিংক রোড় ফরেস্ট অফিসের আওতাধীন দক্ষিণ মহুরীপাড়া, বিসিক উঠনি, সিকদার পাড়া, মহুরী পাড়া গ্রামে গিয়ে বেশ কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে বন রক্ষার দায়িত্ব নিয়োজিতদের ম্যানেজ করেই চলছে বনধ্বংসযজ্ঞ। সদ্য দক্ষিণ মহুরীপাড়ায় পাহাড় কেটে সদ্যঘর করা দুই জনের সাথে কথা বলে জানা গেছে তারা আগে মিঠাছড়ি ইউনিয়নে থাকতো এর মধ্যে তারা রোহিঙ্গা মেয়ে বিয়ে করে আলাদা ঘর করার জন্য এখানে জমি কিনেছে বন বিভাগের জমি কিভাবে কিনলেন জানতে চাইলে বলেন টাকা দিলে সব পারে। এখানে শাহাবুদ্দিন,আয়াস সহ কয়েকজন দালাল আছে তাদের মাধ্যমে বন কর্মচারী রফিককে টাকা দিয়ে ঘর তৈরি করার অনুমতি নিয়েছি। আর ঘর করার জন্য কিছু পাহাড়ের মাটি কেটেছি এগুলো বন বিভাগ জানে উনাদের কোন সমস্যা না থাকলে সাংবাদিকদের এত সমস্য কেন। একই ভাবে পাশের আরো কয়েকজন বলেন,শুধু পাহাড়ে ঘর তৈরি করা নয় এখানে টাক দিলে সব কিছু সম্ভব। আলমগীর নামের এক ডাম্পার চালকের সাথে কথা বলে জানা গেছে পুরু মহুরী পাড়ায় অন্তত ২০ টি ডাম্পার মাটি কাটে এখানে সব কিছুর নিয়ন্ত্রন করে বর্তমান ঝিলংজা ইউপির স্থানীয় মেম্বার তার হুকুমের বাইরে এখানে কারো কোন সাধ্যনেই কিছু করার। তবে তার সাথে মাসিকচুক্তি আছে বন কর্মকর্তা কর্মচারীদের। এদিকে আরো কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে বর্তমানে রফিকের নেতৃত্বেই চলছে লিংকরোড় অফিসের বেশির ভাগ মাশোয়ারার কার্যক্রম আর এখানে নাম ব্যবহার করা হয় উর্ধতন কর্মকর্তাদের। এদিকে কক্সবাজার বিভাগীয় বন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে রফিকুল ইসলাম এর আগে কস্তুরাঘাট বিট অফিসের আওতায় সমিতি পাড়া সরকারি ঝাউবাগানের জমি বিক্রি করে বিপুল টাকা আয় করেছেন। পরে সেখানে নানান বিতর্কিত কর্মকান্ডের কারনে এক বিভাগীয় অফিসের কর্মকর্তা শাহ আলমের মাধ্যমে এক লাখ টাকা ঘুষ লেনদের করে লিংকরোড়ে পদায়ন হয়েছে। এ ব্যপারে অভিযুক্ত ফরেস্ট গার্ড রফিকুল ইসলাম জানান, এগুলো আমার নামে ষড়যন্ত্র আমি এ ধরনের কোন কাজের সাথে জড়িত নই। পরে তাৎক্ষনিক ফোন লিংকরোড় বিট অফিসার গাজী বাহারকে দিলে প্রতিবেদককে গাজী বাহার জানান কোন অভিযোগ থাকলে প্রমান সহ আমার কাছে আসুন আমি তাৎক্ষনিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

পাঠকের মতামত: