ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

লামায় প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার হাতে শিক্ষক হয়রানি

ovijog_1লামা প্রতিনিধি ::::
বান্দরবানের লামা উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে নানাভাবে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আশীষ কুমার মহাজন হয়রানি করছেন বলে বিদ্যালয় শিক্ষক, শিক্ষার্থী অভিভাবক ও এসএমসি’র সদস্যরা জানিয়েছেন।

জানা গেছে, লামা উপজেলায় সদ্য জাতীয় করণসহ মোট ৮৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। সৃষ্ট শিক্ষক পদ রয়েছে ৪৪১টি। বর্তমানে কর্মরত আছেন ৪২৪ জন শিক্ষক। অবসরে যাওয়ার ফলে ১৫ জন প্রধান ও দু’জন সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রযেছে। এর মধ্যে দুইটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকের পদ সৃষ্ট না হওয়ায় ডেপুটেশনে শিক্ষক দিয়ে এ দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান চলছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, এস.এম.সি’র সদস্য ও শিক্ষার্থী অভিভাবকরা জানায়, বিদ্যালয়গুলোর প্রায়ই শিক্ষক-শিক্ষিকা স্থানীয় হওয়ায় পড়ালেখার মান গড়ে সন্তোষজনক। পাঠদানের ক্ষেত্রে সম্প্রতি সুন্দর পরিবেশ বিরাজ করলেও সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আশীষ কুমার মহাজনের স্বার্থান্ধতায় প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। কারণে অকারণে শিক্ষকদেরকে চাপে রেখে অর্থ আদায় করে আসছেন। এছাড়া নিজের সুবিধা লুটতে পরস্পর বিরোধী কথাবলে শিক্ষকদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে মনগড়া মিথ্যা অভিযোগ করছে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট।

জানাগেছে, শিক্ষকদের জন্য ক্লাষ্টার ট্রেনিং-এ জন প্রতি ২৪০ টাকা সরকারি ভাবে বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু সহকারী এই শিক্ষা কর্মকর্তা শিক্ষকদের মাসিক ক্লাষ্টার ট্রেনিং-এর সম্মানির পুরো টাকা শিক্ষকদেরকে না দিয়ে; শিক্ষকদেরকে ২০০ টাকা, কোন কোন শিক্ষককে ১৫০ টাকা ধরিয়ে দেন। এছাড়া অনুপস্থিত শিক্ষকদেরকে ট্রেনিং-এ উপস্থিত দেখিয়ে ট্রেনিং ভাতা নিজে পকেটস্থ করেন।

সূত্র আরও জানায়, স্লিপ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ৭৯ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংস্কারের জন্য প্রতিটির বিপরিতে ৪০ হাজার টাকা ও ৪টি বিদ্যালয়ে শিশুবান্ধব পরিবেশের জন্য এক লাখ টাকা করে বরাদ্দ হয়। স্ব স্ব বিদ্যালয়ের প্রধান ও এসএমসির সদস্যদের সমন্বয়ে সংস্কারের কাজ করে উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে বিল ছাড় করা হয়। অভিযোগ উঠেছে সরকারি বরাদ্দ যথাযতভাবে ব্যয় করে বিদ্যালয় সংস্কারের সদিচ্ছা থাকা শর্তেও সহকারী শিক্ষা অফিসার আশিষ কুমার মহজনের স্বার্থান্ধতায় শিক্ষকরা তা করতে পারেনি।

এ ব্যাপারে লামা উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আশীষ কুমার মহাজন’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ভ্যাটের টাকা কেটে নেয়ার কথা ও ক্লাস্টারের কিছু অনিয়মের কথা স্বীকার করলেও অন্যান্য দুর্নীতির কথা অস্বীকার করেননি। তবে লামা উপজেলা শিক্ষা অফিসার যতিন্দ্র মোহন মন্ডলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সহকারী শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে শিক্ষক ও বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

 

পাঠকের মতামত: