মনির আহমদ:.. পার্বত্য লামা বনবিভাগের অধিন রিজার্ভের চকরিয়ার মানিকপুর অংশে বন-পাহাড় কাটার ধুম পড়েছে। বনও পরিবেশ আইনের তোয়াক্কা না করে ওয়াই-এস-বি এবং ফোর-বি-এম নামক ইটভাটায় দিনে দুপুরে স্কেভেটর দিয়ে ১০০ থেকে ২০০ ফুট উচু পাহাড় কেটে বিলিন করে ইটভাটার মাটি তৈরী করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, দুর্গম পাহাড়ে ৩/৪ টি স্কেভেটর দিয়ে বিলিন করছে ওয়াই-এস-বি এবং ফোর-বি-এম ইটভাটা মালিক ও অবৈধ ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি মোক্তার মেম্বার ও মাষ্টার খাইরুদ্দিন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, অসাধু কাঠ ব্যবসায়ীদের প্রতিরোধ না করে উল্টো সহায়তা করছেন সংশ্লিষ্ট বন কর্তৃপক্ষ। লামা উপজেলার ডলুছড়ি মৌজার সরই, গজালিয়া, ফাইতং, আজিজনগরসহ একাদিক এলাকায় বনবিভাগের বাঁশকল গেট রয়েছে। লাকড়ীর গাড়ি বাঁশের গোড়ায় আসতেই কেরামতির বাঁশটি উঠানামার মাধ্যমে কয়েক মিনিটের মধ্যে বনবিভাগ তাদের নির্ধারিত চাঁদা নিয়ে অবৈধ গাছ বহনকারী গাড়ি নির্বিঘ্ন করে বনকর্মিরাই।
জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তর বান্দরবানের আঞ্চলিক পরিচালক ফখর উদ্দিন জানান, জেলা প্রশাসকের লাইসেন্স ব্যতীত ইট প্রস্তুত, কৃষিজমি বা পাহাড় বা টিলা হইতে মাটি সংগ্রহ, অনুমোদন ব্যতীত ইট প্রস্তুতের উদ্দেশ্যে মজা পুকুর বা খাল বা বিল বা খাঁড়ি বা দিঘি বা নদ-নদী বা হাওরবাওর বা চরাঞ্চল বা পতিত জায়গা হইতে মাটি সংগ্রহ, ৫০ (পঞ্চাশ শতাংশ ফাঁপা ইট (Hollow Brick) বা কম্প্রেসড ব্লক ইট প্রস্তুত, ইট ইটের কাঁচামাল ভারি যানবাহন দ্বারা পরিবহন এবং ইটভাটায় ইট পোড়ানোর কাজে জ্বালানি কাঠ ব্যবহার, নির্ধারিত মানমাত্রার অতিরিক্ত সালফার, অ্যাশ, মারকারি বা অনু উপাদান সম্বলিত কয়লা ব্যবহার, নিষিদ্ধ এলাকায় ইটভাটা স্থাপন না মেনে ইট প্রস্তুত নীতিমালা না মানায় মামলা ও জরিমানা করার বিধান রয়েছে। সুতরাং
পাহাড় কাটার খবর শুনেছি দ্রুত অভিযান চালানো হবে।
পাঠকের মতামত: