চকরিয়া প্রতিনিধি :
চকরিয়া পৌরসভার ময়লা আর্বজনা ফেলার জায়গা চুক্তি (ডাম্পিং ষ্টেশন) সম্পাদন করল চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী ও লক্ষ্যারচর ইউ পি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কাইচারসহ রিয়ানোল হকের সাথে।কিন্তুু তাতে দেখা দিয়েছে জনমনে নানা প্রতিক্রিয়া । সীমানা কৈয়ারবিলের হলেও মূল স্থানটি লক্ষ্যারচরের সীমানে ঘেঁষে।লক্ষারচরের চেয়ারম্যান চুক্তির সহযোগিতায় থাকলেও সে চুক্তি জমির মালিকের সাথে হয়েছে। কিন্তুু চেয়ারম্যান ছিল এ চুক্তির মূল মিডিয়াকারি।
চকরিয়ার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ চকরিয়া কলেজ, আমজাদিয়া মাদ্রাসা, হেল্থ কমিউনিটি হাসপাতাল, খাদ্য গুদাম, নলবিলা বিট অফিসসহ বেশ গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আবাসস্থল লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন। এসব কিছুর পরও ইসলাম নগরের ৪একর জায়গায় ফেলা হবে পৌরসভার সব ময়লা আবর্জনা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আবাসস্থলে আর পৌরসভার সব ময়লা আবর্জনা ফেলার স্থান ২-৩শ গজ দূরত্বের মধ্যে । পৌরসভার এসব ময়লা আবর্জনার স্থুপের কারণে সৃষ্টি হবে নানা রোগব্যাধি ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। নষ্ট হবে লক্ষ্যারচরের প্রাকৃতি অপরূপ সৌন্দর্য। এ স্থাপনা চাইলে কি পৌরসভার পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন ফাঁসিয়াখালীতে বা পৌরসভার অনেক খাস জমি আছে যেখানে ময়লা ফেলার ব্যবস্থা করতে পারতেন ।ওখানে ছিল না কোন লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কিন্তুু লক্ষ্যারচরের চেয়ারম্যান এর প্রতিবাদ তো দূরের কথা আরো করল ময়লা আবর্জনার ফেলার চুক্তিবিনিময়।তাই আজ লক্ষ্যারচরবাসীর চরম দূর্ভাগ্য মনে করছেন সচেতন মহল।
এ বিষয়ে লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সভাপতি রেজাউল করিম সেলিম বলেন, লক্ষ্যারচর বাসীর চরম দূর্ভাগ্য আজ। লক্ষ্যারচরের চেয়ারম্যান এর প্রতিবাদ তো দূরের কথা আরো করল ময়লা আবর্জনার ফেলার চুক্তিবিনিময়ের সহযোগিতা । এতে লক্ষ্যারচরবাসীকে সচেতন হতে হবে, প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে এ চুক্তির বিরুদ্ধে। জায়গার মালিক মরহুম এ কে এম মাহাবুব উল্লাহ ও ডঃ এ কে এম বশির উল্লাহ। মূলত এ দুজনের স্বার্থ সংস্লিষ্ট জড়িত, তাদের নিয়ে ফায়দা লুটে লক্ষ্যারচরের ৫০হাজার জনগণকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সাথে যুক্ত করল চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কাইচার। জায়গার মালিক ও চুক্তি কারি দুজনই সরকার উৎখাত কারি ও নাসকতা মামলার আসামি।
লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সাঃ সম্পাদক খ ম আওরঙ্গজেব বুলেট বলেন, লক্ষ্যারচর বাসীর চরম খেসারত গুনতে যাচ্ছে! যেখানে একজন জনপ্রতিনিধি জনগণের জানমাল রক্ষাকারী একজন সেবক সেখানে চেয়ারম্যান কাইচার মানুষকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলে যাচ্ছে একের পর এক।যেখানে তার দ্বায়িত্ব এলাকার সুশৃংঙ্কল পরিবেশ ও সৌন্দর্য বর্ধন, সেখানে তিনি করছেন জনগণকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ডুব দেয়ার দলিলের অন্যতম সহযোগিতাকারী।এটা কখনো জনগন মেনে নেবে না।অচিরেই জনগণকে সাথে নিয়ে তা প্রতিহত করা হবে।
ডাম্পিং ষ্টেশনের জায়গা চুক্তি সম্পাদনকারী রিয়ানোল হক বলেন, জায়গার মালিক আমার শ্রদ্ধেয় পিতা মরহুম এ কে এম মাহাবুব উল্লাহ ও ডঃ এ কে এম বশির উল্লাহ। কাইচার ভাইকে অনেক ধন্যবাদ। এর জন্য কাইচার ভাই অনেক পরিশ্রম করেছেন।
পৌরসভার ময়লা আবর্জনার গন্ধ অন্য ইউনিয়নের মানুষ কেন সহ্য করবে? এটা অন্যায়।এ চুক্তি অস্বাস্হ্যকর ও শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করবে।পৌরসভার অনেক খাস জমি আছে যেখানে ময়লা ফেলার ব্যবস্থা করা যেত। চকরিয়ার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ চকরিয়া কলেজসহ যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান লক্ষ্যারচরে আছে আমার কক্সবাজার জেলায় আর কোন ইউনিয়নে নেই।তাই চুক্তি বাতিল পূবর্ক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।
পাঠকের মতামত: