নিজস্ব প্রতিবেদক ::
কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম এমএ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সারাদিন মাঠে কর্মতৎপর সময় কাটিয়েছেন। সকালের শুরুতেই অতিমারী করোনার প্রভাব বিস্তার রোধে সরকারের ঘোষিত লকডাউন কঠোরভাবে বাস্তবায়নে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে চকরিয়া পৌরশহর চিরিঙ্গা, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কসহ বিভিন্ন স্থানে বেশ তৎপরতা চালান। এ সময় কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিভিন্ন দিক-নির্দেশনাও দেন।
অপরদিকে গত বুধবারের অতি ভারী বর্ষণে চকরিয়া পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়া, বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়া, গ্রামীণ অবকাঠামো লণ্ডভণ্ড হয়ে যাওয়া চিত্র সরজমিন পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি পৌরসভার ভাঙারমুখে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার কবলে পড়া শতাধিক পরিবারকে পানিমুক্ত করতে তাৎক্ষণিক আন্ডারপাস করে ভাটির দিকে পানি নেমে যাওয়ার সুবিধার্থে নিজ খরচে ৮টি নাঁশি বসিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এতে বড়ুয়া পাড়ার শতাধিক পরিবার জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত হয়।
এছাড়াও চিরিঙ্গা ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডে নির্মাণাধীণ রেললাইনের কারণে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে গ্রামের পর গ্রাম পানিবন্দি হয়ে পড়ে। এই খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক সেখানে ছুটে যান এমপি জাফর আলম। এ সময় তিনি এক্সকাভেটর দিয়ে রেললাইনের আন্ডার পাশ দিয়ে ৯টি নাঁশি বসিয়ে দিয়ে পানি চলাচলের ব্যবস্থা করে দেন। এতে চিরিঙ্গা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি অবস্থা থেকে মুক্তি পায়। এ সময় চিরিঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জামাল হোসেন চৌধুরীসহ স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে এমপি জাফর আলম পরিদর্শন করেন অতি ভারী বর্ষণ ও মাতামুহুরী নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে ভেঙে যাওয়া চকরিয়া পৌরসভার খোন্দকার পাড়া বেড়িবাঁধ পয়েন্ট। এ সময় মসজিদ ও সড়ক রক্ষাসহ মাতামুহুরী নদীর ভাঙন থেকে বেড়িবাঁধ রক্ষায় জিও ব্যাগ স্থাপন ও গাইড ওয়াল নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এ সময় সাথে ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ড কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আরমান সালমান, চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আবু মুছা, এমপির ব্যক্তিগত সহকারী আমিন চৌধুরী, ঠিকাদার মিজানসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এ সময় এমপি জাফর আলম স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্বস্ত করেন, অতি শীঘ্রই মাতামুহুরী নদীর ভাঙন রোধকল্পে জিও ব্যাগ স্থাপন ও গাইড ওয়াল নির্মাণে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের।
এই বিষয়ে এমপি জাফর আলমের ব্যক্তিগত সহকারী আমিন চৌধুরী জানান, সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন করতে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, সার্কেল অফিসার ও থানার ওসিকে সাথে নিয়ে মাঠে কর্মতৎপরতা শুরু করেন। এ সময় কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেন এমপি জাফর আলম।
আমিন চৌধুরী জানান, এছাড়াও এমপি জাফর আলম বিভিন্নস্থানে অতি ভারী বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ, সড়কসহ গ্রামীণ অবকাঠামো পরিদর্শন করেন। কিছু কিছু স্থানে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় পানি যাতে ভাটির দিকে নেমে যেতে পারে সেজন্য ব্যক্তিগত খরচে আন্ডারপাস করে ১৭টি নাঁশি বসিয়ে পানি চলাচলের ব্যবস্থা করলে কয়েকটি গ্রামের হাজারো পরিবার পানিবন্দি থেকে মুক্তি পায়।
এছাড়াও বৃহস্পতিবার বিকেলে এমপি জাফর আলম পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের নিয়ে পরিদর্শন করেন পৌরসভার খোন্দকার পাড়া পয়েন্টে মাতামুহুরী নদীর ভাঙনের কবলে পড়া মসজিদ, বেড়িবাঁধ ও সড়ক। এ সময় তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন মাতামুহুরী ভাঙন থেকে বেড়িবাঁধ রক্ষায় জিও ব্যাগ স্থাপন ও গাইড ওয়াল নির্মাণের। বলেন এমপির ব্যক্তিগত সহকারী আমিন চৌধুরী। ##
পাঠকের মতামত: