কক্সবাজার প্রতিনিধি ::
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের পাহাড়ে হাতির আবাসস্থলে এখন রোহিঙ্গাদের আবাস। প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গা পাহাড়ের ভিতরে আবাসন গড়ে তোলায় হাতিদের জীবন শঙ্কার মুখে পড়েছে। প্রাণ রক্ষায় হাতিগুলো প্রায়ই লোকালয়ে চলে আসে এবং লন্ডভন্ড করে দেয় ক্যাম্পের বাড়িঘর। হাতির আক্রমণে গত পাঁচ মাসে মারা গেছে ১৩ জন। আহত হয়েছে ২০ জন।
হাতি হাতি!! এমন মাইকিং উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রায়ই শোনা যায়। মাইকিং এরপর আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি শুরু হয় ক্যাম্পের মানুষজনের। প্রায়ই ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর পৃষ্ঠ হয় হাতির পায়ের নিচে।
মূলত এই এলাকাটি আগে ছিল হাতির আবাসস্থল। কিন্তু, মিয়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গাদের জায়গা করে দিতে গিয়ে বন কেটে এখানে গড়া হয় ক্যাম্প। এমনকি হাতির দলের চলাচলের রাস্তাটিও এখন রোহিঙ্গাদের দখলে। তাই মানুষের মতই হাতিরাও খুজে ফিরছে তাদের নিরাপদ আবাসস্থল। মাঝে মধ্যে তাই বাধ্য হয়ে ক্যাম্পগুলোতে ঢুকে পড়ে হাতি।
এদিকে, আবাসস্থল সংকুচিত হওয়ায় হাতিরা পড়েছে খাদ্য সংকটে। ফলে, খাদ্যের সন্ধানে হাতিরা বিভিন্ন জায়গায় হানা দিচ্ছে বলে জানান কক্সবাজারের আর আর আর সি’র কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল কালাম।
এ সমস্যা সমাধানে হাতির নিরাপদ চলাচলের পথ ও আবাসস্থল পুনরুদ্ধার করা প্রয়োজন বলে মনে করেন বাংলাদেশে আই.ইউ.সি.এন’এর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ইশতিয়াক উদ্দিন আহমদ।
কক্সবাজার এবং বান্দরবানে হাতি চলাচলের ১২টি করিডোরের বেশিরভাগ এখন রোহিঙ্গা ক্যাম্প। হাতির বিলুপ্তি ঠেকাতে এবং মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হাতিদের নিরাপদ আবাস্থল নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
পাঠকের মতামত: