ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

রেঞ্জ অফিসারের লাঠিপেটায় গুরুতর আহত ফরেস্টগার্ড

ইমাম খাইর, কক্সবাজার ::
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের অধীন ঈদগাঁও ভোমরিয়া বনবিটে কর্মরত আব্দুল আজিজ পাটোয়ারী নামের ফরেস্ট গার্ডকে রাতের অন্ধকারে লাঠিপেটা করেছেন রেঞ্জ অফিসার হাফিজুর রহমান। এমনকি ফরেস্ট গার্ডের মা-বাবাকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালমন্দও করেছেন। মারধরের ঘটনাটি কাউকে না জানাতেও নিষেধ করেন রেঞ্জ অফিসার।
১৫ জুলাই দিবাগত রাত ১২ টার দিকে স্টাফ কোয়ার্টারে এ ঘটনা ঘটে।
পরেরদিন সকালে আহত ফরেস্ট গার্ডকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
তিনি হাতে ও বুকে ব্যাপক আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। আঘাতের কারণে তিনি স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারেন না।
এই ঘটনায় বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভিকটিম আব্দুল আজিজ পাটোয়ারী।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, নতুন বাগান সৃজনে টানা কয়েকদিন কাজের চাপে শারীরিকভাবে অসুস্থতা অনুভব করেন। ইতোমধ্যে তার ডায়রিয়া শুরু হয়। অসুস্থতা নিয়ে বাসায় পড়ে আছেন। কিছুক্ষণ পরপর বাথরুমে আসা যাওয়ার অবস্থা। ঠিক এমন সময়ে রাত ১২ টার দিকে কক্ষে ঢুকে কিছু বুঝে উঠার আগেই এলোপাতাড়ি লাঠিপেটা করতে থাকে রেঞ্জ অফিসার হাফিজুর রহমান। মারতে মারতে জিজ্ঞেস করেন, এখন ডিউটি কার? গাড়ি কে ছাড়ছে?
ভিকটিম আবদুল আজিজ পাটোয়ারী জানান, অসুস্থতার কথা বললেও কানে নেন নি। এরপরও বকুনি ও ধমকাতে থাকেন। এমনকি মা-বাবাকে তুলে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন রেঞ্জ অফিসার।
কিসের জন্য, কোন অপরাধে এভাবে নির্যাতন করা হলো-কিছুই বুঝতে পারেন নি ফরেস্টগার্ড আবদুল আজিজ পাটোয়ারী।
তিনি জানান, মারধরের খবরটি বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বা সংশ্লিষ্ট কাউকে জানালে ‘খবর করে ছাড়ব’ বলেও তাকে হুমকি দেন হাফিজুর রহমান।
এ প্রসঙ্গে ভোমরিয়া বিট কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন জানান, করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তিনি রেস্টে আছেন। ঘটনার বিষয়ে অনেকের কাছে শুনেছেন। বিস্তারিত জানেন না।
একইভাবে মারধর ও লাঠিপেটার কথা শুনেছেন বলে জানান সদর রেঞ্জ অফিসার এমদাদুল হক।
এ প্রসঙ্গে রবিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) তহিদুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, ঘটনার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। শনিবার নিজেই ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করেছেন। অভিযুক্ত এবং ভিকটিম দুইজনের সাথে কথা বলেছেন। ঘটনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাঠকের মতামত: