ঢাকা,রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

রামুর ৪০ ডাকাতের আস্তানায় অভিযান অস্ত্রসহ ৬ ডাকাত আটক

স্টাফ রিপোর্টার  :
ককসবাজার ও বান্দরবানের ট্রায়াঙ্গেল খ্যাত রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের মগবিলের পাহাড়িরাজা শাহীন প্রকাশ শাহিন্য বাহিনীর গভীর পাহাড়ের ২ টি আস্তানায় সাড়াঁশি অভিযান  চালিয়ে অস্ত্র-রাম দা সহ ৬ ডাকাতকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। রামুর গর্জনিয়া ফাড়িঁ পুলিশের আইসি উপ-পর্রিদশক রফিকুল ইসলামের র্নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে ডিবি পুলিশ সহ ককসবাজার ও বান্দরবানের ২০ চৌকস পুলিশ সদস্য অংশ নেন।
অভিযানে নের্তৃত্বদানকারী এসআই রফিকুল ইসলাম জানান,পরিকল্পনার ছক মোতাবেক ৭ সেপ্টেম্বর ভোর রাত ৩ টায় অভিযান চালানো শুরু করে তার দল। নৌকা যোগে তারা গর্জনিয়া বাজার থেকে গর্জনিয়ার কুখ্যাত  শাহিনুর রহমান ওরফে শাহিন্যার আস্তানার দিকে রওয়ানা  দেন ২০ সদস্যের দলটি। কচ্ছপিয়া ইউািনয়নের ১ নম্বর ওর্য়াডের মগবিল নামক এলাকায় গিয়ে  এ ডাকাত সা¤্রাজ্যের প্রথম আস্তানায় তারা হানা দেন ভোর ৪ টায় । বাহিনী প্রধান শাহিন্যা  ডাকাত তখন সেখানে পায়চারী করছিল এবং তার সদস্যদের পাহারা দিচ্ছিল নিবিড়ভাবে।  তিনি আরো জানান, এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে শাহিন্যা ডাকাত পালিয়ে গেলেও তার বাহিনীর র্থাড-ইন-কমান্ড সহ দু ’জন কে আটক করে তারা। আটককৃতদের জবানবন্দি’র প্রেক্ষিতে পুলিশ দলটি অপর আস্তানায় হানা দেয় একই দিন শেষ রাতে। আস্তানাটি ছিল স্থানীয় মাঝির কাটার মৃত মৌলানা নূর আহমদের খামার বাড়ি। এখান থেকে পুলিশ অপর ৪ ডাকাতকে আটক করে পুলিশ দল। আটককৃতরা হলো: শাহিন বাহিনীর মামা ও সেকেন্ড-ইন-কমান্ড লুৎফর রহমান (২২)। সে  খামারের মালিক মৌলানা নুর আহমদের ছেলে। থার্ড-ইন-কমান্ড মহিউদ্দিন (২৫) পিতা: বাবুল মিয়া। তার  বাড়ি ঘিলাতলী। সে স্থানীয় কবির সওদাগরের ভাগিনা। মন্জুর আলম( ২৫) পিতা: মেহের আলী তার বাড়ি মাঝির কাটা। শাহজাহান ওরফে সুজন (২০) সে ইউনিয়নের তুলাতলী মৃত আবদুল জলিলের ছেলে। ৫ম জন হলো ইব্রাহিম খলিল (২১) সে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দৌছড়ি ইউনিয়নের চিকনছড়ি আরিফুল ইসলামের ছেলে। সর্বশেষ জন  হলো: আলম ওরফে আজাদ, পিতা রমজান আলী সে কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের তুলাতলী গ্রামের রমজান আলীর পুত্র।
পুলিশ আরো জানান,  অভিযানে ১ দেশীয় তৈরী বন্দুক, ২ টি রাম দা ও ২ দেশীয় দা উদ্ধার করে পুলিশ। তবে এলাকাবাসৗ জানান,অভিযান  আচঁ করতে পেরে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা আরো ১০/১২জন ডাকাত পালিয়ে যায় বলে তারা জানতে পারেন।  এ এলাকায় ৪০ ডাকাত ও কুখ্যাত সন্ত্রাসীরা আসা যাওয়া করে নিয়মিত। যাদের বাড়ি টেকনাফ,উখিয়া,চকরিয়া,ঈদগাও,ঈদগড় ও মহেশখালী সহ অন্যান্য এলাকায়। যে  এলাকায় সহজে আইন শৃংখলা বাহিনী পর্যন্ত যেতে ভয় পায়।
এদিকে পুলিশ জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও ডাকাতির প্রস্তুতির অভিযোগে পৃথক ২ মামলা হচ্ছে এ সংবাদ লেখাকাল অবধি। অভিযানে অংশ নেন,ককসবাজারের রামু থানার পুলিশ ছাড়াও বান্দরবানের ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক আনিসুর রহমান ও নাইক্ষ্যংছড়ি থানা এএসআই বিষ্ণু কুমার রায় ও গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির এটিএসআই মো: ইমরান হোসেন সহ বেশ কয়েক পুলিশ কর্মকর্তা।  রামু থানার অফিসার ইন-চার্জ প্রভাষ চন্দ্র ধর জানান,আটককৃতরা খুবই ধূর্ত। এদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণূ তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। প্রয়োজনে রিমান্ডও চাওয়া হবে। আর বনের রাজা খ্যাত শাহিন্যাকে আটকের প্রস্তুতিও চলছে।

পাঠকের মতামত: