রামু প্রতিনিধি ::
রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের থিমছড়ি এলাকায় সন্ত্রাসী কায়দায় জমি জবর-দখলের চেষ্টা চালিয়েছে এলাকার চিহ্নিত ভ‚মিগ্রাসী চক্র। বৃহষ্পতিবার, ১৮ মে ভোরে ৭০/৮০ জন ভাড়াটে নারী-পুরুষ দা, লোহার রড, লাটি-সোটা এবং অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সংগঠিত করে। খবর পেয়ে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এনিয়ে যে কোন সময় দুপক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করেছে এলাকাবাসী।
জবর-দখল চেষ্টার এ ঘটনায় রামু উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) এবং রামু থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন- জমির মালিক বয়োবৃদ্ধ হাজ¦ী রশিদ আহমদ। তিনি রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের বড়বিল পশ্চিম থিমছড়ি এলাকার আশরাফ আলীর ছেলে।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে- গর্জনিয়া ইউনিয়নের থিমছড়ি এলাকার জালাল আহমদের ছেলে রহিম উল্লাহ, মাহমুদুর রহমানের ছেলে নুরুল হাকিম, মৃত কবির আহমদের ছেলে বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী, জামাত ক্যাডার শফিউল আলমের নেৃতৃত্বে ৭০/৮০ জন ভাড়াটে নারী-পুরুষ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ওইদিন ভোরে হাজ¦ী রশিদ আহমদের মালিকানাধিন কৃষি জমি জবর-দখলের উদ্দেশ্যে স্থাপনা ও ঘেরা-বেড়া নির্মাণের চেষ্টা চালায়। এসময় জমির মালিক ৯৯৯ এ কল করলে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শাহ পরান এর নেৃতৃত্বে পুলিশের একটি দল সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
জমির মালিক হাজ¦ী রশিদ আহমদ জানান- ওয়ারিশসূত্রে প্রাপ্ত এ জমি তিনি দীর্ঘদিন শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছেন। সাম্প্রতিক সময়ে হামলাকারি সন্ত্রাসীরা জমিটি জবরদখলের অপচেষ্টা শুরু করে। এরই প্রেক্ষিতে গত ১০ মে তিনি রহিম উল্লাহ গং এর বিরুদ্ধে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৪৪ ধারা মতে এমআর মামলা (নং ৮৪৯/২০২৩) দায়ের করেন। বিজ্ঞ বিচারিক হাকিম মামলাটি আমলে নিয়ে বিরোধীয় জমির বিষয়ে তদন্তপূর্বক মতামত দেয়ার জন্য রামু উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) কে এবং শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য রামু থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
কিন্তু বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে এ মামলায় অভিযুক্ত রহিম উল্লাহ ও তার সহযোগি নুরুল হাকিম ও জামাত ক্যাডার শফিউল আলমের নেৃতৃত্বে ৭০/৮০ জন ভাড়াটে নারী-পুরুষ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হাজ¦ী রশিদ আহমদের জমি জবর-দখলের চেষ্টা চালিয়েছে। হামলাকারিরা রশিদ আহমদের জমির সীমানা, ঘেরা-বেড়া ভাংচুর করে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শাহ পরান জানান- জমি দখলের ঘটনা চলাকালে ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে তিনি সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পান। জমিটি নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে ১৪৪ ধারার একটি মামলাও চলমান আছে। বিষয়টি তদন্তের জন্য দুপক্ষকে আসার জন্য বলা হয়েছিলো। পরপর ৩ বার ডাকা হলেও দখলের চেষ্টায় লিপ্ত ব্যক্তিরা আসেনি।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন- জমির মালিক হাজ¦ী রশিদ আহমদ বংশানুক্রমে তিনি দীর্ঘদিন জমিটি ভোগদখল করে আসছেন। যারা জবর-দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে তারা মালিকানা দাবির স্বপক্ষে কোন কাগজপত্র কোথাও দেখাতে পারেনি। কোন বিচারেও তারা সাড়া দেয়না। উল্টো সন্ত্রাসী, বখাটে লোকজন নিয়ে প্রভাব বিস্তার করে বয়োবৃদ্ধ হাজ¦ী রশিদ আহমদের জমি জবর-দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
পাঠকের মতামত: