ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

রমজানে নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদালত চায় জেলার সাধারণ মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক ::
রমজান আসলেই বাড়ে নিত্যপণ্যের দাম। রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে এবং পর্যটন নগরীর দোহায় দিয়ে কক্সবাজারে নিত্যপণ্যের মূল্য বাড়ানো হয় স্বাভাবিকভাবে। কিন্তু বর্তমানে লাগামহীন এই প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানো নিয়ে একপ্রকার দিশেহারা হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

এদিকে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বিএসটিআই এর সব বিভাগ ও জেলা কার্যালয়ের মাধ্যমে প্রতিদিন ভ্রাম্যমান আদালত সার্ভিল্যান্স কার্যক্রম পরিচালনায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিলেও কক্সবাজারে এর প্রভাব খুব একটা না পড়ায় লাগামহীনভাবে অসাধু ব্যবসায়ীরা নিত্যপণ্যের দাম বাড়াচ্ছে বলে দাবি করছে সাধারণ মানুষ। তাই রমজান উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য নির্ধারণ, খাদ্যপণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ, ভেজাল পণ্য এবং নি¤œমানের পণ্যের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহর রাখার দাবি জানিয়েছেন কক্সবাজারের সাধারণ মানুষ।

শহরের বড় বাজারে আসা কাশেম সিকদার বলেন, লেবু হালি বিক্রি হচ্ছে প্রতি জোড়া ৩০ টাকা। এভাবে টমেটো, করলা, শসা, বেগুন, ফুলকপি, শিম, মরিচ, পুদিনা, মরিচ, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, আদা বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। নেই কোন নির্দেশনা। কিছু সাইনবোর্ড থাকলেও তার তুলনামূলক ব্যবধান অনেক বেশি। কিভাবে সাধারণ মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজার ক্রয় করবে?

শহরের কানাইয়ার বাজারে আসা ছৈয়দ নুর বলেন, রমজান আসলেই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ে প্রতি বৎসর। কক্সবাজারে রজমান আসার আগে থেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশচুম্বী করে তুলে অসাধু ব্যবসায়ীরা। তারা নানান অজুহাতে রমজান মাস আসলে বহুগুন বাড়িয়ে দেয় বাজারের সকল পণ্যের দাম। ইফতার সামগ্রী তৈরির কাঁচামালের দামের উপর থাকে তাদের টার্গেট। বেগুন, লেবু আর শসার চড়া দাম এখন আমাদের মতো সাধারণ মানুষের ক্রয়-ক্ষমতার বাইরে।

নুর হোছাইন নামের এক ব্যক্তি জানান, রমজান মাস যেন আমাদের দেশের অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য হাতে চাঁদ ধরার মতো। কোন ধরণের মানবতা নেই। রমজান মাসে বিশেষ করে মুড়ি, খেঁজুর, ভোজ্যতেল, সরিষার তেল, ঘি, দুধ, নুড়লস, সেমাই, পানিসহ ইফতার সামগ্রী বিক্রি করা হচ্ছে চড়া দামে। প্রতি বৎসর এই রকম হয়ে থাকে। প্রতি বৎসর বাড়ছে। কিন্তু বাড়ানো মূল্য রমজান গেলেও আর কমে না। শুধু বাড়ে আর বাড়ে।

তবে কাঁচামাল ব্যবসায়ীদের দাবি, আমদানি কমে গেলে কাঁচামালের দাম বেড়ে যায়। তাছাড়া অধিকাংশ কাঁচামাল আসে জেলার বাইরে থেকে। তাই পরিবহন ভাড়াও বাড়ে। তাছাড়া কক্সবাজারে আসা কাঁচামালের একটি অংশ রোহিঙ্গাদের জন্য সরবরাহ করে ব্যবসায়ীরা। যার কারণে নিত্যপণ্যের উপর চড়া দাম বহন করতে হয় জেলার সাধারণ মানুষের।

জেলার সাধারণ মানুষের দাবি, বাজারের নিত্যপণ্যের মূল্য কমানো প্রয়োজন। লাগাম টানা দরকার অসাধু ব্যবসায়ীদের। তাই পণ্যের সঠিক ওজন ও পরিমাপ নিশ্চিতসহ নিত্যপণ্যের মূল্যের উপর কড়া নজরদারি প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।

আইন-শৃংখলা বাহিনীর নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করলে কিছুটা হলেও নাগালের ভিতরে থাকবে নিত্যপণ্যের দাম। তাছাড়া, পবিত্র রমজান মাসে জনগণকে মানসম্মত পণ্য ক্রয় ও নকল ও নি¤œমানের সচেতন করতে এবং সঠিক পণ্যের দাম সম্পর্কে জনগণকে জানাতে মিডিয়া সহ মাইকিং করে প্রচার-প্রচারণা করা উচিৎ বলে মনে করছেন জেলার সাধারণ মানুষ।

পাঠকের মতামত: