একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধী পাকিস্তান বাহিনীর ২০০ সেনা সদস্যদের নামের তালিক প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলন।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় স্বাধীনতা হলে মঙ্গলবার দুপুরে সংগঠনটির পক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।
এই তালিকায় ৬৮ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধে নীল নকশা প্রণয়ন ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দানের অভিযোগে। জেনেভা কনভেনশনসহ আন্তর্জাতিক যুদ্ধনীতি লঙ্ঘন করে সরাসরি গণহত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগে অংশ নেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে ১১৮ জনের বিরুদ্ধে। আর ব্যাপক হারে গণহত্যায় অংশ নেয় ১৪ জন, যাদের মধ্যে আছেন পাকিস্তান নৌবাহিনীর তিনজন ও বিমানবাহিনীর তিনজন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন সংগঠনটির আহ্বায়ক ও নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। তিনি বলেন, “আমাদের কাছে আরও কিছু তথ্য-উপাত্ত আছে। সেগুলো আমি পর্যায়ক্রমে প্রকাশ করব।”
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতা শাহজাহান খান বলেন, “পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাই না। আমাদের কাজ হচ্ছে পাকিস্তানি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জনগণের জাগরণ সৃষ্টি করা। এ বিষয়ে সরকারকে সহযোগিতা করা।’
যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলনের দাবিগুলো জাতীয় সংসদে উত্থাপনের জন্য স্পিকারের কাছে একটি স্মারকলিপিপাঠঅনো হবে জানিয়ে শাহজাহান খান বলেন, “আগামীকাল (বুধবার) বিকেল তিনটায় জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে কয়েক হাজার মানুষের এক বিশাল মিছিল সহকারে আমরা সংসদ অভিমুখে যাত্রা করব।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মহাসচিব এমদাদ হোসেন, চলচ্চিত্রনির্মাতা কাজী হায়াৎ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন মহাসচিব ওসমান গণি, শিক্ষক নেতা আব্দুল মান্নান চৌধুরী প্রমুখ।
পাঠকের মতামত: