ঢাকা,শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

মেধাবী ছাত্রী হাসিনার ঘাতকদের শাস্তি দাবীতে কক্সবাজার সরকারী কলেজে মানববন্ধন

ও্র্র্র্র্রওসংবাদ বিজ্ঞপ্তি ::

কক্সবাজার সরকারী কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৩য় বর্ষের মেধাবী ছাত্রী হাসিনা আকতারের ঘাতকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।

৩১ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে কলেজ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর এ.কে.এম ফজলুল করিম চৌধুরী, উপাধ্যক্ষ ছলিমুর রহমান, ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মো. সোলাইমানসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন।

তারা বলেন, মেহেদীর দাগ নাশুকাতেই মেধাবী ছাত্রী হাসিনাকে খুন করে যৌতুকলোভী স্বামী ইয়াছিন আরাফাতসহ শ্বশুরালয়ের লোকজন।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের মেধাবী ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যাকান্ডের বিচারের দাবীতে যখন সারাদেশ উত্তাল ঠিক ওই সময়েই কক্সবাজার সরকারী কলেজের ছাত্রী হাসিনা আকতারকে হত্যা করা হয়।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলেন, সারাদেশে একে একে জঘন্যতম অনেক হত্যাকান্ড ঘটছে যাচ্ছে। কিন্তু কোন ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার না হওয়ায় ঘাতকরা উৎসাহিত হচ্ছে। পার পেয় যচ্ছে ঘাতকরা। হত্যাকান্ডের খবরে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধন থেকে ঘাতক স্বামী ইয়াসিন আরফাতসহ খুনের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করা হয়।

অন্যথায় বৃহত্তর কর্মসুচির হুঁশিয়ারী দেন বিক্ষুব্ধ শির্ক্ষীরা।

এ দিকে কলেজ ছাত্রী হাসিনা খুনের ঘটনায় ঘাতক স্বামী ইয়াছিন আরাফাতকে প্রধান আসামী করে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে নিহত হাসিনার বড়ভাই জাকির হোসেন। মামলা নং জিআর-৮৩/২০১৬। ৩০ মার্চ বুধবার রাতে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলাটি রেকর্ড হয়।

মামরার অন্যান্য আসামীরা হলো- দেবর জাহেদুল ইসলাম, শ্বশুর মোস্তাক আহমদ, শ্বাশুড়ী হোসনে আরা বেগম ও জা রেবেকা বেগম।

থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, ঘাতক স্বামীসহ আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিহত হাসিনা কক্সবাজার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সংলগ্ন নাপ্পাজা পাড়ার মৃত আব্দুল মোনাফের মেয়ে।

এক মাস আগে কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফদন্ডী মধ্যম মাইজপাড়া এলাকার মোস্তাক আহমদের ছেলে ইয়াছিন আরাফাতের সাথে হাসিনার বিয়ে হয়। বিবাহের পরে হাসিনার স্বামী ইয়াসিন তার ব্যবসার জন্য ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে আসছিল। হাসিনার পরিবার যৌতুক দিতে না পারায় এবং তার দাবী মেটাতে ব্যর্থ হওয়ায় ২৯ মার্চ সকালে নানা কৌশলে হাসিনাকে হত্যা করে ঘাতক স্বামী ।

নিহত হাসিনার ভাই ও আইন কলেজের ছাত্র দেলোয়ার বলেন, ঘাতক ইয়াসিন পরিকল্পিতভাবে আমার বোন হাসিনাকে হত্যা করেছে। বর্তমানে ঘাতক ইয়াসিন দালাল চক্রের মাধ্যমে মোটা অংকের মিশনে নেমেছে। তারা মামলাটি ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

পাঠকের মতামত: