অনলাইন ডেস্ক :: ‘হিন্দু ভাইদের উচিত ১০ জন করে একেকটি দল তৈরি করা, যাদের কাজ হবে মুসলিম মা-বোনদের রাস্তায় ফেলে প্রকাশ্যে গণধর্ষণ করা।’ এভাবেই উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের উসকে দিচ্ছেন বিজেপি নেত্রী সুনীতা সিং গৌড়। এ বিষয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতারা বলছেন, ভারতকে সাম্প্রদায়িক করে তোলা হচ্ছে। নষ্ট করা হচ্ছে শান্তি।
সুনীতা সিং গৌড় উত্তরপ্রদেশের রামকোলার বিজেপি মহিলা মোর্চার নেত্রী। তিনি শুক্রবার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এই ধরনের পোস্ট দেন।
সেখানে এই নেত্রী লেখেন, ‘মুসলিমদের বিষয়ে একটাই সমাধান রয়েছে। হিন্দু ভাইয়েদের উচিত মুসলিম মা ও বোনেদের প্রকাশ্য রাস্তায় গণধর্ষণ করা। এরপর সবাইকে দেখানোর জন্য তাদেরকে বাজারের মাঝখানে ঝুলিয়ে রাখা।’
এখানেই শেষ নয় বিজেপির ওই নেত্রীর উগ্রবাদী কথা। তিনি আরো বলেন, ‘মুসলিম মা ও বোনেদের উচিত নিজেদের সম্ভ্রম লুঠ করতে দেওয়া। কারণ দেশকে রক্ষা করতে এছাড়া আর অন্য কোনও উপায় নেই।’
এদিকে ফেসবুকে এই পোস্টটি করার পরই তা ভাইরাল হয়ে যায়। ওই নেত্রীর সমালোচনায় মুখর হয়েছেন ভারতীয়রা। শেষ পর্যন্ত প্রবল চাপের মুখে তাকে দলীয় পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে বিজেপি।
বিজেপি মহিলা মোর্চার জাতীয় সভানেত্রী বিজয় রাহাতকর বলেন, ‘ বিজেপি এ ধরনের ঘৃণ্য মন্তব্যকে কখনো সহ্য করবে না। যারা এমন করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা ইতোমধ্যে ওই নারীকে দল থেকে বহিষ্কার করেছি।’
বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারত জুড়ে মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের মাত্রা ভয়াবহ আকার নিয়েছে। কারণে-অকারণে চলছে নির্যাতন। কথিত গো-রক্ষার নামে হত্যা করা হচ্ছে মুসলিমদের। এর জন্য হিন্দু উগ্রবাদী সংগঠনকে দায়ী করছে বিভিন্ন মানবাধীকার সংস্থা।
পাঠকের মতামত: