কুতুবদিয়া থানায় দায়ের করা মানব পাচার মামলার চার্জশীটকে নকল করে একটি সিন্ডিকেট লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ চার্জশীটে মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী , মহেশখালী পৌরসভা, কুতুবজুম ও বড় মহেশখালীর ১৭ জন ব্যক্তির নাম লিপিবদ্ধ করে একটি নকল চার্জশীট তৈরি করে বিভিন্ন জনের হাতে ধরে দেয়ায় এলাকায় চলছে তোলপাড়। এ নকল চার্জশীট দেখে মাতারবাড়ীর রশিদিয়া হাশমতিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক নুর কালাম, উত্তর রাজঘাটের ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন সহ অনেকে হতাশ হয়ে পড়েছে।
কুতুবদিয়া থানার এস.আই এ.বি.এম কামাল উদ্দীন কুতুবদিয়া থানায় গত ২৯ জানুয়ারী তারিখে দায়েরকৃত এজাহারে জানান, চট্টগ্রাম সদরঘাট থেকে গত ২৮জানুয়ারী তারিখে ৬০-৭০জন লোক নিয়ে আদম পাচারকারীরা কুতুবদিয়া চ্যানেল দিয়ে গভীর সাগরের দিকে যাওয়ার সময় তাদের বহনকৃত টলারটি কুতুবদিয়া খুইদ্দারটেক বরাবর সাগরে ডুবে যায়। এতে বিভিন্ন মাছ ধরা ট্রলারের মাঝি-মাল্লারা ভাসমান লোকদের উদ্ধার করে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যায়। উদ্ধারকৃত লোকজনের মধ্যে ৭জনকে আটক করে কুতুবদিয়া থানার পুলিশ। এদের জিজ্ঞাসাবাদে পোকখালী, মগনামা সহ বিভিন্ন এলাকার মানব পাচারকারী দালাল চক্রদের নাম তালিকাভূক্ত করে কুতুবদিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নং জি.আর ১০০। এ মামলা দীর্ঘ ৯ মাস তদন্ত করার শেষে চট্টগ্রামস্থ সি.আই.ডি পুলিশ পরিদর্শক শ্যামল কান্তি নাথ প্রকৃতি আসামীদের বিরুদ্ধে একটি চার্জশীট আদালতে প্রেরণ করে। এ চার্জশীটের ফরম্যাট বের করে আসল আসামীদের নাম তুলে ফেলে মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের উত্তর রাজঘাটের বাসিন্দা রশিদিয়া হাশমতিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক নুর কালাম মোস্তাক আহমদের পুত্র বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন সহ মহেশখালীর ১৭জনের নাম অন্তভূক্ত করে নকল একটি চার্জশীট তৈরী করে বিভিন্ন জনের হাতে ধরে দেয়। এ চার্জশীটের প্রতি সন্দেহ হলে মাষ্টার নুর কালাম ও জয়নাল আবেদীন আদালতে শরণাপন্ন হলে উক্ত মামলার আসল চার্জশীট আদালত থেকে তুলে দেখে যে আসল মামলার নম্বর ১০০। এ মামলার আসল চার্জশীটে মহেশখালীর কারোর নাম নেই। কিন্তু নকল চার্জশীটে নম্বর হচ্ছে ১০০০। মামলার চার্জশীট নকল করার ঘটনা আদালত এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে চারদিকে পড়ে যায় হৈ-চৈ । সচেতন মহলের প্রশ্ন নকল চার্জ শীট তৈরী কারক এরা কারা ?
পাঠকের মতামত: