সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীন মহেশখালীতে মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ দেওয়া দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে চালিয়াতলী-মাতারবাড়ী সংযোগ সড়কের উন্নয়ন কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
মাতারবাড়ী ইউপি সদস্য রিয়াজ উদ্দিন ও স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগসাজশে উক্ত সড়কের মেরামত কাজে ব্যাপক অনিয়ম করছে। মহেশখালী উপজেলার কালামারছড়া চালিয়াতলী মাতারবাড়ী সংযোগ সড়কের দায়সারা সংস্কার কাজের কারণে ভোগান্তিতে পড়ছে সড়কে যান চলাচলসহ সাধারণ মানুষ। একই সাথে প্রতিদিন দৃশ্যমান সংস্কার কাজের কারণে দুপুরের পর প্রায় সময় যান চলাচল বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি ও হয়রাণির মধ্যেও পড়ছেন বলে জানান ভুক্তভোগিরা। সিডিউল মোতাবেক সড়কের পাশ থেকে মাটি নেওয়ার নিয়ম না থাকলে ও এখানে মাটি নিয়ে সংস্কার কাজ করতেছে। দায়িত্বে নিয়োজিত ঠিকাদার মো: হাকিম কন্ট্রাকটার ক্ষমতাসিন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে হরিলুট করে নিম্মমানের কাজ চালিয়ে সরকারী বরাদ্দকৃত দেড় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে যাচ্ছে। এতে ক্ষুদ্ধ এলকাবাসী ও চলাচলরত লোকজন। উন্নয়ন কাজের দায়িত্ব পেয়েছেন চকরিয়ার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হাকিম এন্ড ব্রাদাস। মাতারবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা মাষ্টার মোঃ উল্লাহ বলেন, কাজের সিডিউল আমার জানা নেই, তবে দেড় কোটি টাকার বরাদ্দ যে পরিমাণ কাজ হচ্ছে তা আবার জোয়ারের পানির ধাক্কায় সড়কটি তলিয়ে যাবে। যদি উচুঁ করে সড়কটির কাজ করা হতে জোয়ারের পানি থেকে সড়কটি রক্ষা করা যেত। বর্তমানে সড়কটির কাজ শুরু হলেও দৃশ্যমান কোন ধরণের কাজ হচ্ছে না। তাই কাজের মান ভাল হওয়ার জন্য সাংসদ আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিকের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন তিনি। কাজ নিম্মমানের হওয়ায় তারপরও ওই কাজে সরকারের এতো বিশাল অংকের টাকা বরাদ্দ দেয়ার ঘটনায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সচেতন মহলে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অভিযোগ, সড়ক উন্নয়নের নামে সরকারি অর্থ হরিলুট বন্ধ করতে হলে দুর্নীতি দমন কমিশন সহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা তদন্ত করলে অনিয়মের সত্যতা খুঁজে পাবে। চালিয়াতলী-মাতারবাড়ী সড়কের চলমান প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সড়কের অর্ধেক অক্ষত রয়েছে। তবুও সড়কের উপরিভাগে সিডিউল বহির্ভূত নিন্মমানের ভাঙা ইট দিয়ে তার উপর দেড় মাইল সড়কে যে পরিমাণ উচু করে মাটি দিয়ে কাজ করার কথা থাকলে কথা সেই নিয়মগুলো সড়কের উন্নয়ন কাজের কোথাও মানা হচ্ছে না। জানা যায়, সরকারিভাবে সিডিউল মোতাবেক কাজ করার কথা থাকলেও নিয়োজিত ঠিকাদার মোঃ হাকিম এন্ড ব্রার্দাস তা করছেনা। স্থানীয় সচেতন লোকজন চালিয়াতলী-মাতারবাড়ী সংযোগ সড়ক নিমার্ণ কাজে নিয়োজিত হাকিমের ভাই আলী কাছ থেকে কাজের খোঁজ খবর নিতে চাইলে তিনি উল্টো ক্ষেপে যায়। অনিয়ম ও তাদের মনগড়া ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তবে সরকারীভাবে দেড় কোটি টাকার এই প্রকল্পটির জন্য বরাদ্দ দেয়। কিন্তু তাতে কাজ হচ্ছে অত্যন্ত ন্মিমানের। ইট ও গাইড ওয়ালের জন্য রড সিমেন্ট, বালি, লবণাক্ত পানির ব্যবহার, যা দেখে মাতারবাড়ী দ্বীপের জনসাধারণের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যে ভাবে নড় বড় ভাবে কাজ শুরু হয়েছে এতে তা অল্পতে ভাঙ্গানের আশংকা রয়েছে। প্রায় সময় সড়কটি সাগরের জোয়ারের পানিতে ভেঙ্গে যাওয়ায় চরম দুভোর্গে পড়ে লোকজন। জানা গেছে, সরকার এলাকার লোকজন ভালভাবে যাতায়াতের জন্য দেড় কোটি টাকা ব্যয় করে ঠিকাদার মারফত কাজ করে গেলে ও দূণীর্তিবাজ এসব ঠিকাদার লোভে পড়ে নিম্মমানের কাজ করে সমাজ ও দেশের উন্নয়নের কাজকে বাধাগ্রস্ত করে চলছে। এসব নিম্মমানের কাজের জন্য মাস না হতে সড়ক ভেঙ্গে খান খান হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। উক্ত সড়কে নিম্মমানের কাজ শুরু হওয়া সোস্যাল মিডিয়া ফেইসবুকে সমলোচনা ঝড় উঠেছে। চালিয়াতলী-মাতারবাড়ী সংযোগ সড়ক সংস্কার কাজে নিয়োজিত ঠিকাদার হাকিমের সাথে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সড়ক উন্নয়ন কাজে অনিয়মের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন বলেন, আমি সরকারী সিডিউল মোতাবেক কাজ শুরু করেছি। সড়ক অনিয়মের বিষয়টি জানতে মহেশখালী উপজেলা নিবার্হী প্রকৌশলী সৈয়দ জাকের হোছাইনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। মহেশখালী উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোঃ আবুল বলেন, অনিয়মের ব্যাপারে আমার জানা নেই, তবে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, উক্ত সড়কে নিম্মমানের কাজ হলে সরেজমিনে পরিদর্শন করে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে আশ্বস্থ করেন।
পাঠকের মতামত: