ঢাকা,সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

মহেশখালীর প্রধান সড়কে ১০ কালভার্ট ঝুঁকিপূর্ণ নিত্য ঘটছে দুর্ঘটনা, দ্রুত সংস্কার দাবি

ফরিদুল আলম দেওয়ান, মহেশখালী :: দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় মহেশখালী উপজেলার গোরকঘাটা-জনতাবাজার ও শাপলাপুর সড়কের ২০টি কালভার্টের মধ্যে ১০টি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এ কারণে ওই ঝুকিঁপূর্ণ কালভার্টের উপর দিয়ে গাড়ি যাতায়াত করতে গিয়ে স্থানীয় লোকজন প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এছাড়া সড়কের অবস্থা আরো করুণ। ফলে বিকল্প কোন পথ না থাকায় এলাকার ৩ লক্ষাধিক মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এসব কালভার্টের উপর দিয়ে স্থানীয় লোকজন গাড়ি নিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে। গত এক মাসে অন্তত ১৫টি গাড়ি উল্টে গিয়ে শতাধিক লোকজন আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটে। কিন্তু এসব ঝুঁিকপূর্ণ কালভার্ট সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া গোরকঘাটা-জনতাবাজার সড়কে ২৭কিলোমিটারের মধ্যে হোয়ানক এলাকায় প্রায় ১০কিলোমিটার সড়ক খানাখন্দকে পরিণত হয়েছে। সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। ফলে এলাকার লোকজন সড়ক পথে যাতায়াত করতে গিয়ে যেমন সময় বেশি লাগছে, তেমনি কষ্ট পোহাতে হচ্ছে তারও বেশি।
এলাকাবাসী জানান, উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের হরিয়ারছড়া, বড়ছড়া, কেরুনতলী, কালালিয়াকাটা, পানিরছড়া, কালারমারছড়া ইউনিয়নের বাজার এলাকায়, ইউনুছখালির আফজলিয়াপাড়া,ও শাপলাপুর ইউনিয়নের দিনেশপুর এলাকার ছোটবড় ১০টি কালভার্ট ঝুঁিকপূর্ণ হয়ে পড়ছে। এসব কালভর্াটের উপর দিয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে যানচলাচল করছে। এছাড়া গোরকঘাটা-জনতাবাজার সড়কের মধ্যে হোয়ানকের ধলঘাট পাড়া,পানিরছড়া, ছনখোলা পাড়া, কালারমারছড়া ও মাইজ পাড়া এলাকায় সড়কের বিভিন্নস্থানে ভেঙ্গে গেছে। কালারমারছড়া ইউনিয়নের ইউনুছখালির বাসিন্দা আব্দুর রশিদ বলেন, বিকল্প যাতায়াতের কোন উপায় না থাকায় বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁিক নিয়ে স্থানীয় লোকজন সড়ক দিয়ে যাতায়াত করছে। আর ঝুঁিকপূর্ণ কালভার্টের পাশাপাশি সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে যাওয়ায় ৪০মিনিটের পথ যেতে এখন সময় লেগে যায় দেড় ঘণ্টা। গাড়ির ড্রাইভার মোস্তাক আহমদ বলেন, ঝুঁিকপূর্ণ সড়কের উপর দিয়ে গাড়ি পারাপার করতে গিয়ে অনেক সময় গাড়ি উল্টে গিয়ে দূর্ঘটনার শিকার হয়। গত ১৭ নভেম্বর বড়ছড়া বাজার এলাকার নড়বড়ে ব্রিজের উপরে ভাঙ্গা পাটাতনে চাকা আটকে গিয়ে একটি মালবাহী পিকআপ আটকে গেলে দুপাশে শতশত গাড়ি আটকা পড়ে। অপর দিকে কালভার্টের পাশাপাশি সড়কের অবস্থা আরো করুণ। ফলে মৃত্যুর ঝুঁিক নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছি।
কালামারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ জানান, কালভার্ট ও সড়ক সংস্কারের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন মাথা ব্যথা নেই। চলতি নভেম্বর মাসে গাড়ি উল্টে গিয়ে অর্ধ শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। তিনি ঝুকিঁপূর্ণ কালভার্ট ও সড়ক সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোরদাবি জানান।

পাঠকের মতামত: