ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

মহেশখালীতে ৩ বন্দুক ও ১০টি কাতুর্জ উদ্ধার, অস্ত্র ব্যবসায়িসহ গ্রেপ্তার ৪

হারুনর রশিদmmmmm_1-481x540-481x540, মহেশখালী :::

মহেশখালীতে পুলিশের অভিযানে শফিউল আলম (৪২) নামের এক অস্ত্র ব্যবসায়ীসহ ৪ সন্ত্রাসী আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শফিল আলম ওই এলাকার মৃত চাঁদ মনু সিকদার এর ছেলে। এসময় তার কাছ থেকে দেশীয় তৈরী ৩টি বন্ধুকসহ ১০টি তাজা কাতুর্জ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শফিউল আলম এর বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় জি আর-৩১৩/১৫,জি আর-৩৪৮/১৩, জি আর-৫০/১০ মামলা রয়েছে।

ওই অভিযানে গ্রেপ্তারকৃত অন্যান্য আসামীরা হলেন বড় মহেশখালীস্থ ফকিরাঘোনা এলাকার মো:ইউনুছ এর ছেলে জিয়াউর রহমান(৩৫) কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার বিরোদ্ধে মহেশখালী থানায় জি আর ১১৭/১১, জি আর- ১৪৭/৫, জি আর ১১/৫ মামলা রয়েছে।

বড় মহেশখালীস্থ ফকিরাকাট এলাকার সোনালীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার বিরোদ্ধে মহেশখালী থানায় জি আর ৮৭/৭, জি আর-২৫০/১১ মামলা রয়েছে।

একই ইউনিয়নের ফকিরাকাটা এলাকার মৃত সোনামিয়ার ছেলে জসিম উদ্দীন কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার বিরোদ্ধে মহেশখালী থানায় জি আর ১৭৭/১৩, জি আর ১১/৫ মামল রয়েছে মহেশখালী থানায়।

মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ পিপিএম বার এর নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত নাজমুল হক কামালা এবং পুলিশের চৌকস অফিসার এস আই হারুনর রশিদ,এস আই মনির, এ এস আই সালাম, এ এস আই আজিমসহ সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান চালায়। ১১ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৩টার সময় ফকিরাকাটাস্থ অস্ত্রব্যবসায়ীর আস্তনায় অভিযান চালিয়ে শফিউল আলমকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এসময় পুলিশের উপস্থিতিটের পেয়ে অন্যান্য সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলিছুটতে ছুটতে পালিয়ে যায়। আতœ রক্ষার্তে পুলিশও পাল্টা জব্বাবে গুলছিুটে। ওই সময় অন্যান্য সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলেও শফিউল পুলিশের জালে আটকা পড়ে।

স্থানীয় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত নাজমুল হক কামাল বলেন-মহেশখালীতে অবৈধ অস্ত্র তৈরীর সর্বশেষ ১টি কারখানা এবং অস্ত্র তৈরীর কারখানায় অস্ত্র তৈরীর সরমঞ্জাম এমনকি ১টি নাটবল্টু থাকা পর্যন্ত পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং অস্ত্র তৈরী ও বিক্রয়ের সাথে যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জড়িত এবং অর্থ যোগান দাতা ও পৃষ্টপোষক কারীদের মূল উৎপাটনে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

উক্ত দাগী আসামীদের গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ পিপিএম বার জানান- উপজেলার বড় মহেশখালীস্থ ফকিরাকাটা এলাকায় অস্ত্র ব্যবসায়িরা অস্ত্র বিকিনিকিতে ব্যস্থ ও আস্তানায় অবস্থান করছে, গুপনে এমন সংবাদ পাইয়া উক্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে পুলিশের উপস্থিতিটের পেয়ে অস্ত্রব্যবসায়ি সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া গুলিছুটে পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়। ওই সময় শফিউল আলম নামের এক অস্ত্র ব্যবসায়িকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসা হয় এবং তার বিরোদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করা হবে জানান। এছাড়া ও অন্যান্য মামলার দাগী ৩ আসামীকে গ্রেপ্তার পূর্বক আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত: