ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

মহেশখালীতে স্ত্রীর পরকিয়ার বলি হয়ে স্বামীর আত্মহত্যা! স্ত্রী পলাতক

সরওয়ারর কামাল, মহেশখালী :: মহেশখালী উপজেলার পৌরসভার চরপাড়া আর্দশ গ্রামের বাসিন্দা মালেশিয়া প্রবাসী আলতাজ মিয়া(৩৬) স্ত্রীর পরকিয়ায় বাধাঁদানের কারনে শারীরিক নির্যাতনে আত্নহত্যার শিকার হয়েছে। সে উপজেলার কুতুবজোম পূর্বপাড়া গ্রামের নুরু মাঝির পুত্র। তার বিয়ে হয় গোরকঘাটা গ্রামের সেকান্দর মাঝির মেয়ে নয়ারা বেগমের সাথে। তাদের সংসারে ২ মেয়ে ১ ছেলে সন্তান রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, বিগত ৫ বছর পূর্বে নিহত অালতাজ সংসারের সুখের আশায় সাগর পথে মালেশিয়া যায়। কুতুবজোমের আলতাজ মিয়া, মা বাবা ছেড়ে গোরকঘাটার চর পাড়া আদর্শ গ্রামে স্ত্রী কথায় একটি জমি কিনে বাড়ী তৈরী করে। স্বামী বিদেশে থাকায় সুযোগ সন্ধানী স্ত্রী নয়ারা বেগমের সাথে পরকিয়ায় প্রেমে আসক্ত হয়ে স্থানিয় চরপাড়ার এক লম্পট যুবকের সাথে।

গত ৩মাস আগে আলতাজ মালেশিয়া থেকে বাংলাদেশে আসলে স্ত্রীর পরকিয়ার বিষয়টি জানতে পারে। জানার পরও স্ত্রীকে পূর্বের পথ থেকে ফিরে আসতে বুঝিয়ে বললে ও না আসায় ওই পরকিয়া প্রেমই কাল হয় আলতাজের বলে স্থানিয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন।

জানাযায়, সম্প্রতি স্বামী আলতাজ স্ত্রীকে বার বার পরকিয়ায় বাধাঁ প্রদানের কারনে শাশুর বাড়ীর লোকজন আলতাজ কে মারধর করে শারিরীক মানসিক নির্যাতন করত। উক্ত নির্যাতন সইতে না পের ১১ ই এপ্রিল সকাল ৯টায় নিজ বাসার একটি কক্ষে আলতাজের গলায় রশি প্যাঁচিয়ে ঝুলছে। আলতাজের চেঁচামেচি প্রতিবেশী লোকজন আঁচ করতে পেরে দ্রুত বাড়ীর দরজা ভেঙ্গে আলতাজকে উদ্ধার করে মহেশখালী হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।

এছাড়াও ঘটনাটি অধিকতর তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন স্থানিয় বাসিন্দারা।

ঘটনার পর থেকে স্ত্রী নয়ারা বেগম পলাতক রয়েছে বলে জানান নিহতের পিতা নুরু মিয়া ।

এব্যাপারে মহেশখালী থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেন, আত্মহত্যার বিষয়ে ঘটনার রহস্য উদঘাটনের তদন্ত চলছে। রহস্য উম্মোচন করা হবে।

পাঠকের মতামত: