ঢাকা,শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

মহেশখালীতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে পাচঁটি দোকান ও বসতবাড়ি পুড়ে ছাই॥ক্ষয়ক্ষতির ৩২’লক্ষ টাকা

ুুুুুআবদুর রাজ্জাক,মহেশখালী-১১ এপ্রিল ::

কক্সবাজারে মহেশখালীর কুতুবজোম ইউনিয়নে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে পাচঁটি দোকান ও একটি বসতবাড়ি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। রবিবার রাত সাড়ে ১২ ঘটিকার সময় উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের বঠতলী বাজারে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার দেড় ঘন্টা পরে ফায়ার সাভির্সের উদ্ধার কর্মিরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক ভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান প্রায় ৩২’লক্ষ টাকা হবে ক্ষতিস্থরা জানিয়েছেন।

ঘটনার বিবরণ ও ক্ষতিগ্রস্থরা জানান, রবিবার রাত সাড়ে ১২ ঘটিকার সময় উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের বঠতলী বাজারে ডা: আবদুল মালেকের ফার্মেসি থেকে একটি মশার কয়েলের আগুন থেকে এই অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়ে মুহুর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখায় চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে পার্শ্ববতি মাহমুদুল করিমের মুদির দোকান,মালেক ফামের্সি,ইসলাম ফার্মেসি,আল-আমিন ষ্টোর(মুদির দোকান),ইউনিয়ন ছাত্রলীগের অফিস ও বাজারের পার্শ্ববতি দেলোয়ার হোসেনের বাড়ি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় ৩২’লক্ষ টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। এদিকে ক্ষতিগ্রস্থ ও স্থানীয় লোকজনরা আক্ষেপের সুরে বলেন,আগুন লাগার সংবাদ তাৎক্ষনিক মহেশখালী ফায়ার সাভির্সের সরকারী টেলিফোনে (০৩৪২৪৭৪৩৩৩) জানালেও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ও উদ্ধার কর্মিরা ঘটনাস্থলে আসে র্দীঘ দেড় ঘন্টা পরে । ততক্ষনে আগুনের লেলিহান শিকায় বাজারের ৪,টি দোকান,১ টি অফিস ও ১ টি বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের লোকজনের খামখেয়ালি ও দায়িত্ব পালনে অবহেলার কারণে জনগনের এতবড় ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। তারা যদি সময়মত ঘটনাস্থলে আসত তাহলে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান অনেক কম হত বলে জানান।

এদিকে ঘটনার সংবাদ পাওয়া মাত্র নব নির্বাচিত কুতুবজোম ইউনিয় পরিষদের চেয়ারম্যান মোর্শারফ হোসেন খোকন ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন এবং ক্ষতিগ্রস্থদেরকে সাহয্যের আশ্বাস দেন।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহি অফিসার মো: আবুল কালাম জানান,আজ(মঙ্গলবার) উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সরজমিনে ঘটনাস্থল পরির্দশন করে ক্ষতিগ্রস্থদের তাৎক্ষনিক সরকারী অনুদান দেবেনে বলে তিনি এই প্রতিনিধিকে জানান।

ঘটনাস্থলে দেরীতে আসার ব্যাপারে ফায়ার সার্ভিসের মহেশখালী জোনের ষ্টেশন ম্যানেজার দুলাল কুমার মিত্রের সাথে সরকারী টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্রীজ ভাঙ্গার অজুহাতে দেখিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে মোবাইলের লাইন কেটে দেন।

পাঠকের মতামত: