ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

মহেশখালীতে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে চীনের সাথে চুক্তি

প্রকল্প ব্যয় ১৬ হাজার কোটি টাকা ।। প্রাথমিকভাবে ১৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন পর্যায়ক্রমে উন্নীত হবে ১০ হাজারে

ঢাকা ব্যুরো ::
মহেশখালীতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে চীনের সাথে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ অংশীদারীত্বে স্থাপিত হবে। লভ্যাংশও সমান অংশীদারিত্বে বন্টন হবে। গতকাল রোববার বিদ্যুৎ ভবনে পল্লী উন্নয়ন বোর্ড–পিডিবি ও চীনের হুয়াদিয়ান কোম্পানির মধ্যে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে চুক্তি সই হয়। হুয়াদিয়ান কোম্পানির ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং জিহাও এবং পিডিবির সচিব মীনা মাসুদ উদ জামান চুক্তিপত্রে সই করেন।

চুক্তি অনুযায়ী, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণে ব্যয় হবে দুই বিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। যার অর্ধেক দেবে বাংলাদেশ, বাকী অর্ধেক চীন। পরবর্তীতে লভ্যাংশে সমান অংশ পাবে দুই দেশ। বর্তমান সরকার কয়লাভিত্তিক যে কয়েকটি বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে তার একটি এটি। এসব কেন্দ্রের মধ্যে যৌথ মালিকানায় রয়েছে বেশ কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র। এর মধ্যে প্রথমটির নির্মাণ কাজ চলছে বাগেরহাটের রামপালে। সেটিও এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের, যেটির উৎপাদনে আসার কথা আগামী বছর। আর পটুয়াখালীর পায়রাতেও বাংলাদেশ–চীন যৌথ মালিকানায় এগিয়ে চলছে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। সেখানে ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ হাব তৈরি হবে বলে এর আগে জানিয়েছেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

মহেলশাখী বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে চুক্তি সইয়ের পর প্রতিমন্ত্রী জানান, মহেশখালীর এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যে উৎপাদনে আসবে। প্রাথমিকভাবে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের চুক্তি হলেও পর্যায়ক্রমে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র ১০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করা হবে বলে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, হুয়াদিয়া চীনের একটি বড় কোম্পানি। ভবিষ্যতে এই কোম্পানি বাংলাদেশের জ্বালানিখাতে আরও বড় বিনিয়োগ করবে বলে আমরা আশা করি। বাংলাদেশের সবচেয়ে কাছের বন্ধু রাষ্ট্র চীন। বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে এই সর্ম্পক আগামীতে আরও জোরদার হবে।

এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত জাং জোও, বিদ্যুৎ সচিব আহমেদ কায়কাউস এবং বোর্ডের প্রকৌশলী খালেদ মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।

পাঠকের মতামত: