মহেশখালীতে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে সন্ত্রাসী নিহত, ১১ পুলিশ আহত, বিপুল পরিমান অস্ত্র ও তাজা কার্তুজ উদ্ধার।
থানাসুত্রে জানাগেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১৩ ফেব্রুয়ারী দিবাগত রাত ২টা থেকে ভোর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত পৃথক অভিযানে হোয়ানক ইউনিয়নের কেরুনতলী পূর্ব মাঝের ডেইল এলাকায় পুলিশের সাথে সন্ত্রাসীদের বন্দুক যুদ্ধ হয়। সেখানেই গুলিবিদ্ধ হয়ে নুরুচ্ছফার পুত্র আব্দু সাত্তার (৩৩) নিহত হন। অপরদিকে মাতারবাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১৪টি দেশীয় তৈরী অস্ত্র, ৬০ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, দা, কিরিচ সহ অস্ত্র তৈরীর সরঞ্জমাদি উদ্ধার করেছে। পৃথক অভিযানে সন্ত্রাসীদের সাথে পুলিশের বন্দুক যুদ্ধে এসআই, এএসআই সহ ১১ পুলিশ আহত হয়েছেন। আহত হলেন-এসআই শাওন, এসআই হারুন, এসআই মনির, এসআই সাহেদ ও এসআই সুুজন, নাজমুল ও পুলিশ সদস্যগন। অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, এসআই জহির, এসআই হারুন, এসআই সুজন, এসআই মনির, নাজমুল ও মহেশখালী উপজেলা আনসার কোম্পানী কমান্ডার মোহাম্মদ সোহেল। এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার ড.এ.কে এম ইকবাল হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহেশখালী থানা পুলিশ অভিযান চালানোর সময় সন্ত্রাসীদের সাথে বন্দুকযুদ্ধ হয় সেই যুদ্ধে নিহত সন্ত্রাসী আব্দু সাত্তার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের লিস্টভুক্ত আসামী তার বিরোদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানোর সময় সন্ত্রাসীরা পুলিশ কে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে তখন দু’পক্ষের গুলাগুলিতে সন্ত্রাসী আব্দু সাত্তার নিহত হয়েছে। অপরদিকে আরেকটি অভিযানে ও পুলিশের সাথে সন্ত্রাসীদের গুলি বিনিময় হয় দু’অভিযানে পুলিশের এসআই সহ ১১জন আহত হয়েছে। সন্ত্রাসীদের বিরোদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত: