সরওয়ার কামাল, মহেশখালী :: মহেশখালী উপজেলার পৌরসভার ভূমি অফিস সংলগ্ন জমিদার বাড়ীর বেহাল দশা ধ্বসে পড়ে প্রাণহানির আশংকায় পরিনত হয়েছে। মহেশখালী দ্বীপের জমিদার ফ্রসন্ন কুমার রায় বাহাদুরের পুত্র অজিত কুমার রায় বাহাদুরের কাচারী বাড়িটি অনেক দিন উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মচারীগণ আবাসিকভাবে ব্যবহার করে আসছিল।
এক সময়ের সমগ্র মহেশখালী দ্বীপের জমিদারের কাচারী বাড়ী নামে পরিচিত বাড়ীটির মাঠির দেওয়াল গুলি অনেক দিন ক্ষয় হয়ে এখন আর সেই বাড়ীর সৌন্দর্য্য হারিয়ে যাচ্ছে বিলুপ্তির পথে। প্রশাসনিক উদ্দ্যোগ গ্রহণ করলে কাচারী বাড়ীটি দর্শনীয় স্থানে পরিনত করা যেতে পারে।
গ্রীষ্ম মৌসুমে শেষে বর্ষা হলে প্রতি বছর একেকটি দেওয়াল ভেঙ্গে পড়ে। দিনের বেলায় উপজেলা ভূমি অফিস ও ইউনিয়ন সহ স্থানীয় রাখাইন পাড়ার বার্মিজ সরকারী প্রাথসিক বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থীরা ঝরাজীর্ণ কাচারী বাড়ীর সামনে চলাফেরা করে।
বাজার এলাকার জলদাশ পাড়া ও ডাকবাংলো পাড়া, সরকার পাড়া, মখলেছুর রহমান পাড়া সহ বাজারে বিভিন্ন প্রতিষ্টানের কর্মচারীগণ ফুটবল ও ক্রিকেট খেলার আসর জমায়। অনেক স্কুল ছাত্ররা জরাঝির্ণ কাচারী বাড়িতে বাইসাইকেল,স্কুল ব্যাগ,বই রাখে কাচারীর ভিতরের মাঠে ফুটবল ও ক্রিকেট খেলায় সময় কাটিয়ে স্কুল ছুটি হলে বাড়ী ফিরে।
সবচেয়ে ভয় ও আতংকের বিষয় হল বৃষ্টিতে ভেজা মাঠির দেওয়াল যে কোন সময় ভেঙ্গে স্কুল ছাত্র, খেলোয়াড় পথচারীরগণ আহত ও নিহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মহেশখালী উপজেলা জনসভা,প্রতিবাদ সভা,নির্বাচনী সভা সমাবেশ করার মাঠ নেই। এই মাঠে বাৎসরিক মাহাফিল হত হাজার হাজার ধর্ম প্রাণ মুসলমানদের সমাগম হত এখন আর সেই স্মৃতি চিহ্ন আর নেই।
মহেশখালী উপজেলা প্রশাসনের নিকট স্থানীয় জনগণের একান্ত দাবী মহেশখালীর জমিদারের স্মৃতি বিজড়িত কাচারী বাড়ির দেওয়াল ধ্বসে পড়ে প্রাণহানী বা হতাহতের পূর্বে ঝুকির্পর্ন ভবনটি সরিয়ে নিয়ে একটি জনগণের ভূ-সম্পত্তির ডকুমেন্ট সংরক্ষণের জন্য রেকর্ড রুম স্থাপন করলে সাধারণ মানুষের কল্যাণে আসবে।
পাঠকের মতামত: